নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাগ্যটা খারাপ মুমিনুলের। তার ব্যাটে শতক হতে হতে হাতছাড়া। অল্পের জন্য জাতীয় ক্রিকেটে সেঞ্চুরিটা হলো না তার। মতক না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও মুমিনুলের মনটা বেজায় খুশি। কেননা তার দল আবাজনী জয় পেয়েছে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে। এই জয় দিয়ে ঢাকা ডিভিশন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে আবাহনী। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে তাদের পয়েন্ট ৮। ৮ পয়েন্ট করে আছে গাজী গ্রুপ ও মোহামেডান স্পোর্টিংয়েরও, তবে তারা আবাহনীর চেয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আবাহনী ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছে। আবাহনীর ৮ উইকেটে ৩১০ রানের জবাবে ৭ উইকেটে ২৩০ রান করতে সক্ষম হয় ব্রাদার্স। বড় রানের বিপরীতে ব্রাদার্সের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে অর্ধশতক করেন মাইশুকুর রহমান। ৭৮ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রান। বাকিদের মধ্যে মিজানুর রহমান ৪৫, অলক কাপালি ৩৩ ও ইমতিয়াজ হোসেন ২০ রান করেন। বাকিদের সবার রানই বিশের নিচে।
আবাহনীর হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও এসএম মেহরব ২টি করে উইকেট নেন। এক উইকেট করে পান নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান ও মাহফুজুর রহমান।
এর আগে ৫ রানে পারভেজ হোসেন ইমন, ২৭ রানে জিশান আলম ও ১২ রানে দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত সাজঘরে ফিরলে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। ৭৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৯২ রানের ইনিংস সাজান তিনি। মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৭১। ব্রাদার্সের হয়ে আল আমিন ২ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মানিক খান, সোহাগ গাজী, অলক কাপালি ও আইচ মোল্লা। দিনের অন্য দুই ম্যাচের মধ্যে প্রাইম ব্যাংককে গাজী গ্রুপ ও লেজেন্ড অব রূপগঞ্জকে মোহামেডান স্পোর্টিং হারিয়েছে। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, দুটি জয়ই ৯৪ রানে।