স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচকে সামনে রেখে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে গত ৬ মার্চ ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল ব্রাজিল। নেইমারও ছিলেন ওই দলে। ২০২৩ সালে অক্টোবরের পর ফের জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। ১৬ মাস আগে উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন তিনি। যা তাকে প্রায় এক বছরের জন্য মাঠ থেকে ছিটকে দেয়।
অস্ত্রোপচার ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে মাঠে ফিরলেও সুবিধা করতে পারছিলেন না। একপ্রকার বিরক্ত হয়ে চুক্তি শেষ হওয়ার আগে তাকে বিদায় জানিয়ে দেয় সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। সেখান থেকে গত জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফেরেন তিনি। এরপর আবার নিজেকে প্রমাণ করে দীর্ঘদিন পর জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। কিন্তু ইনজুরি যেন তার ভাগ্যকে নিয়ে খেলা বন্ধ-ই করছে না। জাতীয় দলে ডাক পেয়েও খেলা হচ্ছে না তার। এবার উরুতে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন তিনি।
উরুর ইনজুরি অবশ্য সাম্প্রতিক নয়। গত সোমবার (১০ মার্চ) পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে সান্তোসের একাদশে ছিলেন না নেইমার। করিন্থিয়াসের বিপক্ষে ২-১ গোলে ম্যাচটা হেরেও গেছে তারা।
ওই ম্যাচ শেষেই তার ইনজুরির খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে সেটা তেমন গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছিল। যার কারণে আশা করা হচ্ছিল কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২১ মার্চ আর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২৬ মার্চের ম্যাচে খেলবেন তিনি।
কিন্তু শনিবার (১৫ মার্চ) ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র নিশ্চিত করলেন খেলা হচ্ছে না নেইমারের। শুধু নেইমার-ই নন, ব্রাজিল মেডিকেল টিমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি দানিলো ও এডারসনও। ইতোমধ্যে তাদের বদলির নামও ঘোষণা করেছেন দরিভাল।
তিনি বলেন, দল ঘোষণার পর থেকে ব্রাজিল জাতীয় দলের মেডিকেল বিভাগ সকল খেলোয়াড়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আমাদের অবগত করেছে। বিশেষ করে (ইনজুরিতে থাকা) দানিলো, নেইমার ও এডারসনের বিষয়ে। সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষে আমরা তাদের পরিবর্তে সান্দ্রো, এন্দরিক ও লুকাস পেরিকে দলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।