শিরোনাম
◈ ভারতের সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে মন্তব্য করেছেন কি? ◈ নওফেল, বিপ্লবকে ১০ কোটি টাকায় পালানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে! ◈ তিন মাসের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ◈ ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত আদানির কাছে মার্কিন সমন পৌঁছে দেবে ভারত ◈ ট্রুডোর পদত্যাগ, শপথ নিলেন মার্ক কার্নি ◈ সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ভারতীয় সিম! ◈ একই বছরে আসবে দুইবার রমজান, তিনবার ঈদ! ◈ ওসি বদলির খবরে থানায় পাওনাদারের ভিড়! ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈ রাজধানীর তুরাগ থেকে হিজবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য সানাউল্লাহ গ্রেফতার 

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩২ দুপুর
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

আমি জানি না, ওরা কেনো মাঠ থেকে অবসর নিলো না : খালেদ মাহমুদ সুজন

স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম ২০০৭ সালে সাউথ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার এক সঙ্গে লাল সবুজের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন। একজন থেকে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ‘পঞ্চপা-ব’। বাংলাদেশের মানুষের, ক্রিকেটের স্বপ্ন সারথীও। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটও দেখে সোনালি সময়।

পাঁচজনে মিলে হয়ে উঠেন দেশের ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্ম। ২০১৯ বিশ্বকাপে লর্ডসে নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন মাশরাফি। ইংল্যান্ডের সেই সন্ধ্যায় শেষের সুর বেজেছিল বাংলাদেশের  ক্রিকেটের স্বপ্ন সারথী হয়ে ওঠা পঞ্চপা-বের। সেদিনের পর থেকে একসঙ্গে কিংবা এক জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলতে দেখা যায়নি মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, তামিম ও মাহমুদউল্লাহকে। সমর্থকরা তাদের মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকলেও সেটা হয়ে উঠেনি। - ক্রিকফ্রেঞ্জি

বাংলাদেশের ক্রিকেটেই মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার ঘটনা হাতেগোনা কয়েকটা। ২০০৬ সালে বগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠ থেকে অবসর নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। পরের সময়ে আব্দুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিসরা ক্রিকেট ছেড়েছেন ম্যাচ না খেলেই। বিভিন্ন দেশের কিংবদন্তিরা বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সেটার দেখা নেই। সুজন মনে করেন, মাঠ থেকে ক্রিকেটারদের বিদায় নেয়া প্রাপ্য।

এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ওদের ক্যারিয়ারটা (মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, তামিম) বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটা উজ্জ্বল ব্যাপার। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় নিয়ে এসেছিল ওরা। আমি মনে করি, মাঠ থেকে অবসর নেয়াটা ওদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, যারা ওদের সমর্থক, যারা ওদেরকে ভালোবেসেছে এত দিন, তারাও ডিজার্ভ করে যে একটা বড় করতালির মধ্যে ওদের মাঠ থেকে বিদায় দেয়া।

তিনি আরও যোগ করেন, আমরা যারা সমর্থক ছিলাম, আমরা যারা ওদের ক্রিকেটকে ভালোবাসি, সেই সুযোগটা (মাঠ থেকে বিদায় দেওয়ার) আমাদের হয়তো হলো না। কেন ওরা মাঠ থেকে অবসর নিল না, ওরাই ভালো বলতে পারবে। হয়তো ওদের কোনো একটা কারণ থাকতে পারে। যেটা আমার মতামত, কোনো ছেলেকে অভিষেকের দিন মাঠেই ক্যাপ পরানো হয়। খেলাটা ছাড়ার সময়ও যদি মাঠ থেকে বিদায় হয়, জিনিসটা আরও প্রেজেন্টেবল হয়। যে খেলাটা আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, সেটা ছাড়াটা আসলেও কষ্টের।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ করে দেশে ফেরার পর সমালোচনার মুখে পড়েন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। টুর্নামেন্টের ফাইনালের পর ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মুশফিক। ১২ মার্চ একই উপায় অবলম্বন করে ওয়ানডে ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহও। সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই অবসর নিতে মাঠের পরিবর্তে বেছে নিচ্ছেন ফেসবুককে। সুজন নিজেও বুঝতে পারছেন না তারা কেন মাঠ থেকে বিদায় নিতে চায় না। 
সুজন বলেন, ‘ওদের ক্যারিয়ারের যে সময়, দুজনেই ওয়াইজ ডিসিশন নিয়েছে। হয়তো ওরা চাইলে আরও কিছুদিন খেলতে পারত। সেটা কতটা ওয়াইজ হতো, আমি জানি না। মাঠ থেকে বিদায় নিলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো। মাহমুদউল্লাহ অবসর নিত, গ্যালারি ভরা দর্শক থাকত, মানুষের হাততালিতে বিদায় নিত, সেটা ওর জন্য বড় পাওয়া হতো। আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না। হলে ভালো হতো।

বিসিবির দায় আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যখন অবসর নিয়েছি, তখন বলেছি এটা আমার শেষ ম্যাচ। যখন কেউ এটা বলে, তখন একটা আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার ব্যবস্থা করতে পারে। বোর্ড কি কাউকে পুশ করতে পারে আপনি অবসর নেন? ওরা যদি বলত যে পরের সিরিজে অবসর নেব। তাহলে বিসিবি প্রস্তুতি নিতে পারে। ওরা যদি না বলে, বিসিবি বুঝবে কীভাবে। বিসিবিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়