শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৮ দুপুর
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

তাসকিন ও মুস্তাফিজ আইপিএল খেলবেন, অথচ বিসিবির কাছে এখনো এনওসি চাননি

স্পোর্টস ডেস্ক : মুস্তাফিজুর রহমান ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অভিষেক হয়েছিলো। পরবর্তী সময়ে প্রায় বেশিরভাগ আসরেই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলেছেন বাঁহাতি এই পেসার। আইপিএলের আগামী মৌসুমের মেগা নিলামে নাম দিলেও এবার অবশ্য মুস্তাফিজকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।

আইপিএলের মতো পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) দল পাওয়া হয়নি মুস্তাফিজের। এমনকি চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) খেলছেন না তিনি। তখন থেকেই গুঞ্জন উঠে আইপিএলে খেলার জন্যই ডিপিএলে কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেননি বাঁহাতি এই পেসার। একই চিত্র তাসকিন আহমেদের ক্ষেত্রেও। আইপিএলের নিলাম ও পিএসএলের ড্রাফটে নাম দিলেও দল পাননি তিনি। 

ডিপিএলের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলার কথা থাকলেও প্রথম চার রাউন্ডে দেখা যায়নি তাকে। এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠে চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া পেসারদের বদলি হিসেবে আইপিএল খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ। ফলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে মুস্তাফিজ ও লক্ষণৗ সুপার জায়ান্টসের হয়ে তাসকিনের খেলার সম্ভাবনা আছে বলে গুঞ্জন তৈরি হয়। 

যদিও আইপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি কিংবা তাসকিন ও মুস্তাফিজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পুরো টুর্নামেন্ট খেলার অনুমতি পেলেই কেবল বাংলাদেশের দুই পেসারকে দলে নিতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজি দুটি। আগের কয়েক মৌসুমে অবশ্য পুরো আইপিএল খেলার অনাপত্তি পত্র দেয়া হতো না মুস্তাফিজ, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানকে।

এদিকে এখন পর্যন্ত  আইপিএল খেলার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনাপত্তি পত্র চাননি তাদের দুজনের কেউ। এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।’

২০২২ সালে লক্ষ্ণৌর হয়ে আইপিএল খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তাসকিন। তৎকালীন মেন্টর গৌতম গম্ভীর নিজে ফোন করলেও ডানহাতি পেসারকে পুরো মৌসুম খেলার জন্য ছাড়তে রাজী হয়নি বিসিবি। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে গুরুত্ব দিয়ে তাসকিনও তাদের না করে দেন। এবার অনাপত্তি পত্র চাইলে দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলী উত্তর দিয়েছেন নাজমুল আবেদিন।

তিনি বলেন, সার্বিক ক্রিকেটের জন্য যেটা লাভবান হবে সেটা আমরা করার চেষ্টা করব। অনেক সময় এমনও হতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেট বাদ দিয়েও আমরা কাউকে পাঠাতে পারি। যদি মনে করি তাতে আমাদের ক্রিকেটারের লাভ হবে এবং আমাদের জাতীয় দলের লাভ হবে তেমন হতে পারে। অনেক সময় এমনও হতে পারে ভালো অফার পাওয়ার পরও কাউকে ছাড়লাম না কারণ তার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা প্রয়োজন। সুতরাং এটা নির্ভর করবে সার্বিকভাবে কোনটা মঙ্গলজনক হবে আমাদের বোর্ডের জন্য, ক্রিকেটের জন্য আমরা সেই সিদ্ধান্তই নিবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়