স্পোর্টস ডেস্ক : দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় করে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে রয়েছে আফগানিস্তান। নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই মিলবে শেষ চারের টিকিটও। দলের এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর কোচ জনাথন ট্রট জানিয়েছেন, এখন থেকে তার দলকে কেউ হালকাভাবে নেবে না।
বুধবার লাহোরে রোমাঞ্চকর ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৮ রানে হারায় আফগানিস্তান। এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে শেষ চারের লড়াইয়ে এখনও টিকে রইল তারা। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই আসর শেষ করতে হবে ইংলিশদের। অলআউট স্পোর্টস
এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। সেবার পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০ দলের টুর্নামেন্টে ছয় নম্বরে থেকে শেষ করতে হয়েছিল রশিদ-নবীদের।
এরপর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো বৈশ্বিক আসরের সেমিফাইনালে খেলে আফগানরা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের এমন সাফল্যের পেছনে এবং বিশ্ব ক্রিকেটে আফগানিস্তানকে নিয়ে মনোভাব পরিবর্তন হওয়ার কারণ হিসেবে দলের সবার অবদান আছে বলে জানান ট্রট।
বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস নিতে পারি। আমি খেলোয়াড়দের সবসময় বলি, আফগানিস্তানকে আর কখনও কেউ হালকাভাবে নিতে পারবে না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু মুম্বাইয়ের সেই ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসের কাছে হার মানতে হয় তাদের। এবার সেমি-ফাইনালে যাওয়ার পথে তাদের সামনে শেষ বাঁধা বর্তমান ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাই।
সবকিছু এখন নির্ভর করছে এই ম্যাচের ওপর। আমি যখন থেকে কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি, তখন থেকে আমরা তিনবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছি এবং প্রতিবারই ম্যাচে ভালো অবস্থানে ছিলাম।
আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে কারণ আমি জানি অস্ট্রেলিয়া আমাদের হালকাভাবে নেবে না। আগে হয়তো এই ম্যাচটিকে অনেকে সহজ ভেবেছে, কারণ আফগানিস্তান ঐতিহ্যবাহী টেস্ট খেলুড়ে দেশ নয়। কিন্তু এই ফরম্যাট ও কন্ডিশনে সেটা আর বলা যাবে না। এখন আমরা যে কোনো ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি এবং প্রত্যেকটি ম্যাচ জয়ের জন্য খেলি।