স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের পর একপেশে ম্যাচে ভারতের কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রীতিমত উড়ে গেছে পাকিস্তান। টানা দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আয়োজকরা। দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে নির্বোধ ও কা-জ্ঞানহীন আখ্যা দিয়েছেন দেশটির সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার। অন্যদিকে দলে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম।
রোববার দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে ভারতের স্পিনে কাবু হয়ে ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ৪৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত। ক্রিকফ্রেঞ্জি
ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে শোয়েব বলেন, আমি যদি এর জন্য পারিশ্রমিক না পেতাম, তাহলে পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতামই না। সত্যি বলতে, তাদের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে অনুরোধ করা হয় আসতে, তাই আসি। তাদের নিয়ে খারাপ কিছু বলার কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই। কেন আমি সময় নষ্ট করব?
এছাড়াও একাদশ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাকিস্তানের হয়ে ৪৪৪ আন্তর্জাতিক উইকেট নেওয়া এই পেসার বলেন, আধুনিক ক্রিকেটে দলগুলো ছয়জন বোলার নিয়ে খেলে। কিন্তু পাকিস্তান মাত্র পাঁচজন নিয়ে নামে। আপনারা দু’জন অলরাউন্ডার নিয়ে নামেন। এটা পুরোপুরি নির্বোধ ও কা-জ্ঞানহীন ম্যানেজমেন্টের পরিচয়। খেলোয়াড়দের দোষ দেওয়া যায় না। তারা দলের ম্যানেজমেন্টের মতোই। তাদের কাছে রোহিত, বিরাট এবং শুবমানের দক্ষতা নেই। তারা নিজেরাও জানে না কি করতে হবে, ম্যানেজমেন্টও দিকনির্দেশনা দিতে জানে না।
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল নির্বাচন নিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি ও অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের কড়া সমালোনা করে ওয়াসিম বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব, দয়া করে অধিনায়ক, নির্বাচক কমিটি এবং কোচকে ডাকুন এবং জিজ্ঞেস করুন, তারা কী ধরনের দল নির্বাচন করেছেন। খুশদিল শাহ ও সালমান আগা কি কখনো উইকেট নিতে পারবে বলে মনে হয়েছে? আমি অনেক দিন ধরে বলে আসছি, এই স্কোয়াড ঠিক হয়নি। কিন্তু চেয়ারম্যান বলেছেন, এটি সেরা দল। এমনকি অধিনায়ক রিজওয়ানেরও দোষ রয়েছে। তিনি দলের নেতা। তিনি যদি নিজেই না জানেন কোন ম্যাচজয়ী খেলোয়াড় দরকার, তাহলে সেটি লজ্জাজনক।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই অলরাউন্ডার বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে পুরনো ধাঁচে খেলছি। এই পরিবর্তন জরুরি। ভয়হীন ক্রিকেটারদের আনুন, তরুণদের সুযোগ দিন। পাঁচ-ছয়টি পরিবর্তন করতে হলেও করুন। ছয় মাস হারলেও সমস্যা নেই, কিন্তু অন্তত ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করুন।