স্পোর্টস ডেস্ক : অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করায় রেফারি লালকার্ড দিয়েছিলেন জুড বেলিয়হামকে। এখন রেফারি মুনুয়েরা মনতেরোর দেয়া লাল কার্ড নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। এ ঘটনার মধ্যেই বিতর্কিত এই রেফারির বিরুদ্ধে আরও বড় এক অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে আপাতত নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন তিনি। শুধু স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনই (আরএফইএফ) নয়, উয়েফার যেকোনো প্রতিযোগিতায়ও দেখা যাবে না মনতেরোকে। গোলডটকম
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস এর প্রতিবেদন অনুসারে, রেফারির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মন্তেরো একটি পরামর্শ ও ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে লা লিগা, উয়েফা, আরএফইএফসহ বিভিন্ন সংস্থার অধীনে থাকা ক্লাবগুলো। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি ও প্যারিস সেন্ট-জার্মেইনের মতো শীর্ষ ক্লাবগুলোও রয়েছে তার প্রতিষ্ঠান ‘ট্যালেন্টাস স্পোর্টস গ্রুপের’ গ্রাহক তালিকায়।
তবে স্কাই ইতালিয়ার সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, মন্তেরো দাবি করেছেন তার প্রতিষ্ঠান কোনো খেলোয়াড়, ক্লাব বা সংস্থার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেনি। বরং এটি কেবলমাত্র অ্যাথলেটদের সহায়তা করার জন্য কাজ করে, যাতে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে ক্রীড়ার সার্বজনীন মূল্যবোধ প্রচার করতে পারে।
এরপরও স্পেনের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘আরএফইএফ’ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের উদ্দেশ্য হলো, মন্তেরো তার দায়িত্ব পালনে কোনো স্বার্থের সংঘাত তৈরি করেছেন কিনা তা নির্ধারণ করা। যদি তিনি নিয়ম লঙ্ঘনের দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাকে ১ লাখ ইউরো জরিমানা ও পাঁচ বছরের জন্য রেফারিং থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
স্প্যানিশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক বিধির ধারা ৯.১ অনুসারে, রেফারিরা এমন কোনো গৌণ স্বার্থে জড়িত থাকতে পারবেন না, যা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের কমপ্লায়েন্স কমিটি এখনো প্রমাণ সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। তবে বিতর্কিত লাল কার্ড ইস্যুর পর মনতেরোকে আসন্ন লা লিগার ১০টি ম্যাচের কোনো একটিতেও দায়িত্ব দেয়া হয়নি, যা স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক রেলেভো নিশ্চিত করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা ও তদন্ত স্পেনের ফুটবল রেফারিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :