নিজস্ব প্রতিবেদক: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ দুবাই গেছে ভারতের বিরুদ্ধে আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে। স্বপ্ন দেখা অন্যায় না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের যুবাদের সঙ্গে যেভাবে খেলেছে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা, সেটা নিতান্তই অন্যায়। মেরুদ- সোজা করেই দঁড়াতে পারেনি শান্তবাহিনী। মূল পর্বে খেলতে নামার আগে আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হতে পারেনি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের।
একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে যে হেরেছে বাংলাদেশ। সেটিও টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া কোনো দলের বিপক্ষে নয়, পাকিস্তান এ’ দলের বিপক্ষে। পরাজয়ের ব্যবধানটাও অনেক। ৯১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে পাকিস্তান দল। বাংলাদেশের পরাজয় যেন প্রথম ইনিংস শেষেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ শেষে পাকিস্তান এ’ দল সেটাই প্রমাণ করেছে। ২০৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে দেখেশুনেই খেলে পাকিস্তান। ২ উইকেটে হারিয়ে ৪২ রান তুলে তারা। পরের ১০ ওভারে যোগ করে আরও ৪৫ রান। এবার উইকেট হারায় মাত্র ১টি।
সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান করা পাকিস্তান ‘এ’ দল পরে আর কোনো উইকেট হারায়নি। এতে ৭ উইকেটের জয়ে দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমির মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান এ’। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশের রান ২০২ হবে কিনা তা নিয়েও এক শঙ্কা ছিল। কেননা পাকিস্তানের লেগ স্পিনার উসামা মীরের ধাক্কায় ১৩৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে পরে ২০২ রান এনে দেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
শেষ দিকে ৩০ রানের ইনিংস খেলে। তাকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ১৪ ও ১৫ রান করা রিশাদ হোসেন এবং নাসুম আহমেদ। বাংলাদেশের হয়ে অবশ্য সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মীর।
আপনার মতামত লিখুন :