স্পোর্টস ডেস্ক :ভারত ভীষণ চিন্তিত যশপ্রীত বুমরাহর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না পারার বিষয়ে। ভারতীয় দলের জন্য বড় ধাক্কাও বটে। এই নির্ভরযোগ্য ডানহাতি এই পেসার চোটের কারণে শেষ পর্যন্ত ছিটকে যাওয়ায় দলে একজন বাড়তি স্পিনার নিয়েছে ভারত। ফলে সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে মোট পাঁচজন স্পিনার নিয়ে যাচ্ছে তারা। আর দলে এত বেশি স্পিনার রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সাবেক অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এককভাবে আয়োজন করার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ভারত দেশটিতে গিয়ে খেলতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে হচ্ছে এবারের আসর। টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও রোহিত শর্মার দল তাদের ম্যাচগুলো খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। এমনকি তারা টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পারলে সেখানেই হবে শিরোপা লড়াই।
ভারতের এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে আছেন দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। এছাড়াও অলরাউন্ডার হিসেবে নিয়মিত স্পিন বোলিং করাদের মধ্যে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভারতের দল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে অশ্বিন জানান, দুবাইয়ের কন্ডিশন বিবেচনায় দলে স্পিনার সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।
দুবাইয়ে পাঁচজন স্পিনার? আমি নিশ্চিত নই। আমার মনে হয়, আমরা দুই জন, অন্তত একজন স্পিনার তো বটেই বেশি নিয়ে ফেলেছি। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে দু’জন বাঁহাতি স্পিনার (জাদেজা ও অক্ষর) আপনার দলের সেরা অলরাউন্ডার। তাই অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা দুজনই খেলতে যাচ্ছে। হার্দিকও খেলবে এবং কুলদীপ খেলবে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সম্প্রতি শেষ হওয়া সাদা বলের সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে শেষ মুহূর্তে যশস্বী জয়সোয়ালের জায়গায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চূড়ান্ত দলে আসেন বরুণ। তবে ডানহাতি এই রহস্য স্পিনারের একাদশে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কম দেখছেন গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো অশ্বিন।
বরুণকে একাদশে খেলাতে হলে একজন পেসারকে বসাতে হবে এবং হার্দিককে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে খেলাতে হবে। অথবা একাদশ থেকে একজন স্পিনার বাদ দিয়ে তৃতীয় পেসার খেলাতে হবে।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে ভারত। এ’ গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (২৩ ফেব্রুয়ারি) ও নিউ জিল্যান্ড (২ মার্চ)।
আপনার মতামত লিখুন :