শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার সাগর ‘মাছশূন্য’ করছে ভারতীয়রা, বাড়ছে ক্ষোভ ◈ রাজাকার গালি নয়, অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে: মিজানুর রহমান আজহারি ◈ চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নেই, কেবল বুঝাবো কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে করা যায়: প্রধান উপদেষ্টা ◈ জাতীয় নাগরিক কমিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় আগে ◈ বাংলাদেশি ৫ কৃষককে সীমান্তে বিএসএফের মারধর, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ ◈ হঠাৎ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি! ◈ অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা: মির্জা ফখরুল ◈ প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে, রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো: প্রধান উপদেষ্টা ◈ আইরিশ ফুটবলার রাতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সকালে গেলেন স্কুলে ক্লাস করতে ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেখা যাবে টি-স্পোর্টসসহ যেসব চ্যানেলে

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

অস্ট্রেলিয়া ১৪ বছর পর স্টার্ক,কামিন্স ও হ্যাজেলউডকে ছাড়া আইসিসির আসরে

স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া শিবিরে যে কোনো বৈশ্বিক আসরে সব সময় ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস আক্রমণ থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির পেস আক্রমণের প্রসঙ্গ আসলেই অবধারিতভাবে উঠে আসবে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউডকে নিয়ে গড়া পেসত্রয়ীর কথা। তবে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই তিন পেসারের কাউকেই দলের সঙ্গে পাচ্ছে না তারা। প্রায় ১৪ বছর পর তাদের কোনো একজনকে ছাড়াই আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে নামছে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলটি। - অলআউট স্পোর্টস

গোঁড়ালির চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে ছিটকে যান নিয়মিত অধিনায়ক কামিন্স। অন্যদিকে নিতম্ব ও মাংশপেশীর চোটের কারণে আসর শেষ হয়ে যায় হ্যাজেলউডের। আগেই দলের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পেসারকে হারিয়ে পেস আক্রমণের শক্তি হারানো অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে স্টার্কের সরে দাঁড়ানো। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বুধবার চূড়ান্ত দল জমা দেওয়ার শেষ দিন নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন বাঁহাতি এই পেসার।

স্টার্ক, কামিন্স ও হ্যাজেলউডের কোনো একজন ছাড়া সবশেষ আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া অংশ নিয়েছিল ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ২০১২ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে জাতীয় দলের প্রথম কোনো আইসিসির আসরে অংশ নেন স্টার্ক। এরপর আইসিসির ১১টি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে স্টার্ক-কামিন্স-হ্যাজেলউডের কেউ না কেউ অস্ট্রেলিয়া দলের অংশ ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবার আগে ২০১০ সালের জুনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন হ্যাজেলউড। একই বছর অক্টোবরে অভিষেক হয় স্টার্কের। তার এক বছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলেন কামিন্স। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই তিন পেসার একসঙ্গে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন ২০১৪ সালের নভেম্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেই ওয়ানডেতে কেবল কামিন্স ৩ উইকেট শিকার করেন।

এরপর এই তিন ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলতে অপেক্ষা করতে হয় দুই বছর। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে একসঙ্গে নিয়মিত খেলতে শুরু করেন স্টার্ক-কামিন্স-হ্যাজেলউড।
সেই থেকে শুরু হওয়া পথ চলায় এই তিন ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে একসঙ্গে খেলেছেন ৮৯টি ম্যাচ। শিকার করেছেন মোট ৬৪১ উইকেট। এর মধ্যে ৩৬ ওয়ানডেতে এই তিন পেসারের শিকার ১৫৮ উইকেট। আর ১৯ টি-টুয়েন্টি নিয়েছেন ৬৮ উইকেট। অন্যদিকে একসঙ্গে খেলা ৩৪ টেস্টে তাদের শিকার ৪১৫ উইকেট।

তবে স্টার্ক, কামিন্স ও হ্যাজেলউড একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম কোনো আইসিসির আসরে খেলেন ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই আসরে তারা শিকার করেন মোট ১৬ উইকেট। ঘরের মাঠে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলে এই তিন ক্রিকেটার থাকলেও একসঙ্গে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। 
অন্যদিকে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোটের কারণে হ্যাজেলউড খেলতে না পারায় তখনও বিশ্ব আসরের মঞ্চে একসঙ্গে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দেওয়ার সুযোগ হয়নি তাদের। ২০২১ বিশ্বকাপ দিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টুয়েন্টিতে একসঙ্গে মাঠে নামেন স্টার্ক-কামিন্স-হ্যাজেলউড। সে আসরেই নিজেদের একমাত্র টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই তিন পেসার একসঙ্গে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন ২০২৩ সালের আসরে। ভারতের অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টে অধিনায়ক কামিন্সের দুর্দান্ত নেতৃত্বে ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে অজিরা। আসরজুড়ে স্টার্ক-কামিন্স-হ্যাজেলউড মিলে শিকার করেন ৪৭ উইকেট।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি আট বছর পর মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নতুন আসর। এই টুর্নামেন্টে সবশেষ ২০০৯ সালে শিরোপা ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টার্ক, কামিন্স ও হ্যাজেলউড পেসত্রয়ীকে নিয়ে হয়তো টুর্নামেন্টে নিজেদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের ছক কষছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই তিন পেসারসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও দুই ক্রিকেটারকে হারিয়ে শক্তিমত্তা অনেকটাই হারিয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। এখন দেখার বিষয় স্টিভ স্মিথের অধিনায়কত্বে আনকোরা এক পেস আক্রমণ নিয়ে টুর্নামেন্টে কত দূর যেতে পারে অস্ট্রেলিয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়