স্পোর্টস ডেস্ক : একুশে পদক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। এই পদকের জন্য সাধারণত ক্রীড়াঙ্গন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় না। এবার সেই ক্রীড়াঙ্গন থেকে একুশে পদকের জন্য বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল মনোনীত হয়েছে। দল হিসেবে একুশে পদক পাওয়ার ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম এবং বড় স্বীকৃতি। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলও এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এই সংবাদ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, একুশে পদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পুরস্কারের জন্য আমাদের মনোনীত করায় সরকারের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমাদের এই পুরস্কার শুধু নারী দল নয়, পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করি।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২২ ও ২৪ আসরে টানা দুইবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গত কয়েক বছর দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আলোকবর্তিতা নারী ফুটবল দলের হাতেই। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সম্প্রীতির দারুণ এক উদাহরণ। গারো, চাকমা, সাওতালসহ আরও কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালি জনগোষ্ঠীর সম্মিলনে দারুণ এক পরিবার বাংলাদেশের নারী ফুটবল।
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।