শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০১ রাত
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:১৪ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

 কে হবেন বিপিএলে সেরা ক্রিকেটার?

স্পোর্টস ডেস্ক : বিপিএলের একাদশ আসরের ফাইনালে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। এই ম্যাচ দিয়ে নিশ্চিত হবে কার হাতে উঠছে টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এবার সেরা খেলোয়াড়ের বিবেচনায় নাম আসে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। মোহাম্মদ নাঈম, তামিম ইকবাল, শামিম হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

নাঈম এই বিপিএলে এখন পর্যন্ত সেরা রানসংগ্রাহক। খুলনা টাইগার্সের হয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলা নাঈম ১৪ ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরিতে ১৪৩.৯৪ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৫১১। এটা আবার বিপিএলের এক আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। ২০১৮-১৯ আসরে সর্বোচ্চ ৫৫৮ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। নাঈম খুব সম্ভবত এবারের শীর্ষস্থানটা ধরেই রাখবেন, কারণ কাগজে কলমে যার পক্ষে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব, সেই তামিম ইকবালের ফাইনালে রান করতে হবে দেড়শর বেশি।

১৩ ইনিংসে ৩৫৯ রান করা তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে। সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের সঙ্গে তুলনায় এখন পর্যন্ত এই একটি জায়গায় তামিম এগিয়ে থাকলেও তার স্ট্রাইকরেট ঠিক টি-টোয়েন্টিসুলভ নয়। ১২৩.৩৭ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন তিনি। টুর্নামেন্টে তার বলার মতো ইনিংস একটিই—৬ জানুয়ারি দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৪৮ বলে অপরাজিত ৮৬ রান করেছিলেন তিনি। সে তুলনায় আরেক ফাইনালিস্ট দল চিটাগং কিংসের শামিম পাটোয়ারি তামিমের চেয়ে এগিয়ে।

তামিমের চেয়ে ৯ রান কম করা শামিম ব্যাট করেছেন প্রায় ১৬০ স্ট্রাইকরেটে (১৫৯.৮২)। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দারুণ টি-টোয়েন্টি সিরিজ কাটিয়ে আসা শামিম বিপিএলে নিজেদের প্রথম ইনিংসেই দুশোর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৭৮ রান করেছিলেন। বরিশালের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে দল হেরে গেলেও শামিম ৪৭ বলে করেছিলেন ৭৯। তার আরও কয়েকটি ভালো ইনিংসের মধ্যে আছে—ঢাকার বিপক্ষে ১৪ বলে ৩০*, সিলেটের বিপক্ষে ২৩ বলে ৩৮ ও বরিশালের বিপক্ষে ১২ বলে ৩০*।

বিপিএলের মাঝপথে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে রংপুর রাইডার্সের পাকিস্তানি রিক্রুট খুশদিল শাহ বেশ এগিয়ে ছিলেন। ১০ ম্যাচে ২৯৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৭টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। ২৬ জানুয়ারির পর দেশে ফিরে যাওয়ায় টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। শেষদিকে পজিশন পরিবর্তন করে ওপেনিংয়ে নামা মিরাজ সে দৌড়ে বেশ এগিয়েছেন। ১৪ ম্যাচে ৩৫৫ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। তার দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে বাদ পড়ে গেছে।

ঢাকার তানজিদ হোসেন তামিম এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ১২ ম্যাচে করেছেন ৪৮৫ রান। আর দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ তো রেকর্ড-ব্রেকিং এক বিপিএলই কাটিয়েছেন। বিপিএলের এক আসরে এতদিন সর্বোচ্চ উইকেট ছিল সাকিব আল হাসানের- ১৫ ম্যাচে ২৩টি। তাসকিন এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। ১২ ম্যাচে ডানহাতি পেসার নিয়েছেন ২৫ উইকেট। তামিম ও তাসকিনের দল বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে, এখানেই টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে তারা। তথ্যসূত্র, সময়নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়