স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। তারাই নিজেদের দল ঘোষণা করতে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়েছে। ১৮ জানুয়ারির মধ্যে টুর্নামেন্টের বাকি সাত দল স্কোয়াড দিলেও ৩১ জানুয়ারি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
আঠারো সদস্যের প্রাথমিক দলে না থাকলেও সবাইকে চমকে দিয়ে পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দলে জায়গা পেয়েছেন এবারের বিপিএলে খেলা খুশদিল শাহ ও ফাহিম আশরাফ। তাদের জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন ইরফান ও মুকিম। আর তাতেই চটেছেন পাকিস্তানের তিন সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম, রশিদ লতিফ ও তানভীর আহমেদ। - ক্রিকেট পাকিস্তান
সাম্প্রতিক সময়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে খুব একটা ভালো না করেও পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা পেয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। এছাড়া স্কোয়াডে আছেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌদ শাকিল এবং টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফখর জামান।
এই চারজনকে দলে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ ইরফান খান, সুফিয়ান মুকিম ও সাইম আইয়ুব। বিশেষত, গত বছর অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ে অবদান রাখা ইরফান-মুকিমের বাদ পড়া বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
আইএলটি২০-তে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ওয়াসিম আকরাম বলেন, দেখলাম ফাহিম আশরাফকে নেয়া হয়েছে। সে প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আমি তাকে শুভকামনা জানাই। কিন্তু সর্বশেষ ২০ ম্যাচে ওর বোলিং গড় ১০০, ব্যাটিং গড় ৯। খুশদিল শাহ’র পারফরম্যান্সও ভালো নয়, তার জায়গা পাওয়া পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত।
রশিদ লতিফ বলেন, মনে হচ্ছে এটা রাজনৈতিক বাছাই। ফাহিম আশরাফ সাম্প্রতিক সময়ে এমন কিছু করেনি, যা তাকে দলে ঢোকার নিশ্চয়তা দিতে পারে। তানভীর আহমেদ বলেন, ভারতের স্কোয়াডে বরীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেলের মতো মানসম্পন্ন স্পিনার আছে। আর আমাদের মাত্র একজন স্পিনার আবরার আহমেদ।
২০২৩ সালে পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন ফাহিম আশরাফ। প্রায় দুই বছর পর তিনি জাতীয় দলে ফিরেছেন, হয়তো এবারের বিপিএলে পারফরম্যান্স বিবেচনায়। ফরচুন বরিশালের হয়ে ১১ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করে বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতেও ২৩১.৮১ স্ট্রাইক রেটে ১০২ রান করেছেন।
খুশদিল শাহও রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১০ ম্যাচে ২৯৮ রান করেছেন এবং বল হাতে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটির ওপর চাপ বাড়ছে, কারণ সর্বশেষ তিন সফরে যারা ভালো করেছে, তাদের বাদ দিয়ে নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবেক ক্রিকেটারদের মতে, দলে পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল না এবং এ সিদ্ধান্তের দায় নির্বাচকদেরই নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :