স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান ২৯ বছর পর আইসিসি ইভেন্টের দায়িত্ব পেয়েছে। ২০১১ বিশ্বকাপে সহ-আয়োজক হিসেবে দেশটির নাম থাকলেও সেবার নিরাপত্তাজনিত কারণে সরে যায় ম্যাচগুলো। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল যে মাঠে, সেই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বেশ কয়েকটি ম্যাচ।
সময়মতো স্টেডিয়ামটির কাজ শেষ হবে কি-না, সেই শঙ্কা নিয়ে সপ্তাহখানেক আগেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে নেতিবাচক শিরোনাম হয়েছিলো পাকিস্তান। তবে, দুই দফা সময় বাড়িয়ে অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল ভেন্যু গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) সেই ছবি ও ভিডিও প্রচার করেছে একাধিকবার।
মাঠ থেকে গ্যালারি, প্যাভিলিয়ন থেকে পিসিবির অফিস, চারিদিকে নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামজুড়ে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গ্যালারি থেকে দর্শক মাঠে ঢুকে পড়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে প্রায়শই। তবে, লাহোরে কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, গ্যালারি আর দেয়াল বেষ্টনির মাঝখানে একটি পরিখা খনন করা হয়েছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে; যা ১০ ফুট প্রশস্ত এবং গভীর। এছাড়া প্রচলিত কাটাতারের বেড়ার জায়গায় লোহার বেষ্টনি দেয়া হয়েছে দেয়ালের ওপর। যার ফলে একপ্রকার অসম্ভব এই নিরাপত্তা ভেঙে মাঠে প্রবেশ করা।
সাবেক দুই পাকিস্তানি তারকা জহির আব্বাস ও মজিদ খানের নামে দেয়া হয়েছে দু’টি ভিভিআইপি স্ট্যান্ড। এছাড়া অত্যাধুনিক জায়ান্ট স্ক্রিন, উন্নতমানের এলইডি ফ্লাডলাইট আর দর্শকদের কথা মাথায় রেখে বসানো হয়েছে ভালো মানে চেয়ারও। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনসহ খুটিনাটি সর্বক্ষেত্রে উন্নতির ছোয়া এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
উল্লেখ্য, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি আইসিসির কাছে মাঠ হস্তান্তর করার কথা পিসিবির। সেদিনই জমকালো আয়োজনে পাকিস্তানের সবচেয়ে অত্যাধুনিক এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধনের কথা রয়েছে। সবমিলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির জানানই দিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এ মাঠে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
আপনার মতামত লিখুন :