স্পোর্টস ডেস্ক : পারিশ্রমিক ইস্যুতে এবারের বিপিএলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুর্বার রাজশাহী। তারা পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না ক্রিকেটারদের। একের পর এক চেক বাউন্স হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে বিসিবি। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে চাপের মধ্যে রেখেছে।
এর আগেই বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভির রহমান মিঠু জানিয়েছিলেন, রাজশাহীর বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তারা। পারিশ্রমিক সমস্যার সমাধানের জন্য বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে সময় বেধে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আসলেই সে (রাজশাহী), যাদের সঙ্গেই বেশি আলাপ হয়েছে, যারা একটু পিছিয়ে আছে বা বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে। সেখানে তারা সামনে কীভাবে এই সমস্যাটা মধ্যস্থতা করবে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা কিছু কিছু অঙ্গীকার করেছে কীভাবে করবে, সেটা আমরা শুনেছি-জেনেছি। তাদেরকে আমরা কিছুটা সময় দিয়েছি ওই অঙ্গীকারগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য।
শুধু রাজশাহী নয় চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধেও পারভেজ হোসেন ইমনকে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কদিন আগেই দলটির স্বত্বাধিকারী সামির কাদের চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ইমনের খেলায় সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। এ কারণে তাকে পারিশ্রমিক দেয়া হয়নি। এই বিষটিও নজরে এসেছে বিসিবির।
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফাহিম বলেছেন, ‘কিন্তু যেভাবে বললাম, আমরা প্রতি মুহূর্তে অনুসরণ করব তাদেরকে, তারা তাদের অঙ্গীকার কতটুকু রাখছে। তাদেরকে যতটুকু সম্ভব চাপে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের কথা যদি বলি, বিশেষ করে তাদের দিক থেকে যেন ঘাটতি না থাকে, তারা যেন সন্তুষ্ট থাকে, এ বিষয়গুলো যেন তারা নিশ্চিত করে।’
চিটাগং দলের স্বত্বাধিকারী মন্তব্যের জবাবে ফাহিম জানিয়েছেন তিনি ক্রিকেটারের প্রতি সম্মানবোধের অভাব দেখছেন। কারো কাছ থেকেই এমন মন্তব্য আশা করে না বিসিবি। এমনকি তাদের সবাইকে পেশাদার আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিসিবির এই কর্মকর্তা।
ফাহিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘না, এটা তো অবশ্যই, আমরা আশা করি না, এ রকম মন্তব্য কেউ করবেন। হয়তো একটা দল ভালো খেলতে পারে–খারাপ খেলতে পারে, একজন ক্রিকেটার ভালো খেলতে পারে–খারাপ খেলতে পারে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যাকে নিয়ে কথা হয়েছে, তার মতো একজন খেলোয়াড় তার মতো করে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।'
'কিন্তু এটা খেলার একটা পাঠ, ইটস গ্রেট গেম—কিন্তু সম্মানবোধটা, দিন শেষে একে অপরকে সম্মানই তো চাওয়া। এটা থাকাটা জরুরি। বিশেষ করে যারা নেতৃত্বের পর্যায়ে থাকবেন, যারা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হবেন, একটা দলের অধিনায়ক হবেন, কোচ হবেন—তারা হবেন সকলের আদর্শ। তাদের কাছ থেকে পেশাদার আচরণ জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :