নিজস্ব প্রতিবেদক :চলমান বিপিএলে টানা আট ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান ধরে ছিল রংপুর রাইডার্স। তবে সবশেষ দুই ম্যাচে হারের তিতো স্বাদ ভোগ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের দলটি। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শীর্ষস্থানের খুব কাছে চলে এসেছে ফরচুন বরিশাল। নিজেদের দশম ম্যাচে খুলনাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করতে বরিশালকে ১৮৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৫ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। এতে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রয়েছে তারা। রান রেটে এগিয়ে রয়েছে রংপুর।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশাল। ৭ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। তবে তিনে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলতে থাকেন ডেভিড মালান। ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ইংলিশ ব্যাটার। ২৫ বলে ২৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন তামিম।
তামিমের আউটের নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি মালানও। ৩৭ বলে ৬৩ রান করে ফেরেন এই তারকা ক্রিকেটার। এরপর বরিশাল শিবিরের হাল ধরেন দেশের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ (২৪)। এরপরই পায়ে টান লাগায় এরশাদ মাঠে ছাড়লে বোলিংয়ে আসেন আবু হায়দার।
প্রথম বলেই মুশফিককে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১৭ ববেল ২৪ রান করেন তিনি। এতে ১৮ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫ রান। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নবির ১০ রান এবং ফাহিম আশরাফের ৬ বলের অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার রনি। এ ছাড়াও আফিফ হোসেন ও সালমান এরশাদ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনাকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম শেখ। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি মিরাজ। ১৮ বলে ২৯ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি।
তবে তিনে ব্যাট করতে না বোসিস্টোকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নাঈম। ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পরের বলেই ক্যাচ আউট হন তিনি। এতে ৯ ওভারে ৯৯ রানে ২ উইকেট হারায় খুলনা। ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হন অ্যালেক্স রোস।
এরপর বোসিস্টোকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আফিফ হোসেন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ২৭ বলে ৩২ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৬ বলে ২ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। এতে রানের গতি কমে যায় খুলনার।
সপ্তম উইকেটে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ পর্যন্ত বোসিস্টোর ১৬ বলের ২০ রান এবং অঙ্কনের ১২ বলের অপরাজিত ২৭ রানের ভর করে ১৮৭ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল খুলনা।
আপনার মতামত লিখুন :