স্পোর্টস ডেস্ক : মাইকেল ক্লার্ক অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলে হাজার হাজার রান করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে রেখেছেন বল হাতে অবদান। তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপও। এবার তিনি জায়গা পেয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) হল অব ফেইমে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর প্রায় এক দশক পর বৃহস্পতিবার এই সম্মাননা পেলেন ক্লার্ক। সিএ হল অব ফেইমের ৬৪তম সদস্য হলেন তিনি। হল অব ফেইমে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তিদের পাশে নিজেকে দেখে দারুণ রোমাঞ্চিত ৪৩ বছর বয়সী ক্লার্ক বলেন, এত অসাধারণ সব ক্রিকেটার, যাদের অনেকেই আমার আদর্শ, ছেলেবেলা থেকে যাদের মতো হতে চেয়েছি এবং অনুসরণ করেছি, তাদের পাশে জায়গা পাওয়া আমার জন্য দারুণ সম্মানের। - অলআউট স্পোর্টস
মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া ক্লার্ক অস্ট্রেলিয়াকে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। একই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিদায় জানান তিনি। টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪৭ ম্যাচে ক্লার্ক।
১১৫ টেস্টে ২৮ সেঞ্চুরিতে ৮ হাজার ৬৪৩ রান করা ক্লার্ক সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেশটির ইতিহাসের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অন্যদিকে ২৪৫ ওয়ানডেতে ৮ সেঞ্চুরিতে ডানহাতি এই ব্যাটার রান করেছেন ৭ হাজার ৯৮১। ক্যারিয়ার শেষ করেছেন এই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে।
২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ২১ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ক্লার্কের। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ওয়ানডেতে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩৯, ৭৫ ও ৫৫ রানে।
টেস্টে অভিষেক হয় পরের বছর অক্টোবরে ভারত সফরে। বেঙ্গালুরুতে অভিষেক টেস্টে ১৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এরপর নাগপুরে তৃতীয় টেস্টে খেলেন ৯১ ও ৭৩ রানের দুটি ইনিংস। ভারতের মাটিতে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
২০১১ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে অ্যাশেজ হারের পর রিকি পন্টিংকে সারিয়ে ক্লার্ককে অধিনায়ক করা হয়। তার নেতৃত্বে ঘরের মাঠে ২০১৩-১৪ অ্যাশেজে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করে অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার হিসেবে ২০১২ সালে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ক্লার্ক। ভারতের বিপক্ষে সিডনিতে খেলেন ৩২৯ রানের ইনিংস। সেই সিরিজে আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ ওই বছর মোট চারবার দুইশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন তিনি। এখন পর্যন্ত এক পঞ্জিকাবর্ষে চারটি দ্বিশতকের একমাত্র কীর্তি সেটি।
ডানহাতি ব্যাটার হলেও বাঁহাতে বোলিং করতেন ক্লার্ক। বাঁহাতি স্পিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শিকার ৯৪ উইকেট। টেস্টে অভিষেক সিরিজে মুম্বাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ রানে শিকার করেন ৬ উইকেট। ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে ম্যাচের শেষ সময়ে দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে নাটকীয় জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ২৫৩টি ক্যাচ নেন ক্লার্ক।
আপনার মতামত লিখুন :