নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের দর্শকরা বিপিএলে দুর্দান্ত একটি ম্যাচ উপভোগ করলো। কে জিতবে? ফরচুন বরিশাল নাকি খুলনা টাইগার্স। কেউই নিশ্চিত হতে পারছিলো না। শেষ পর্যন্ত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল কষ্টের জয়ে শেষ হাসি হাসলো। হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া এই লড়াইয়ে মাত্র সাত রানে খুলনাকে হারিয়ে দিলো বরিশাল।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বরিশালকে ১৬৭ রানের মধ্যে আটকে দিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজ-আমের জামালরা। এবারের বিপিএলে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই দেখা গেছে বড় রান। সেখানে বরিশালের মতো দলকে ১৭০ রানের নিচে আটকে রাখা বেশ দারুণ কৃতিত্ব। কিন্তু বোলারদের সেই কৃতিত্ব মলিন হয়েছে মোহাম্মদ নাঈম শেখ-মেহেদী হাসান মিরাজদের স্লো ব্যাটিংয়ের কারণে।
১৬৮ রান তাড়া করতে যেমন ব্যাটিং করার প্রয়োজন, সেটা করতে পারেনি খুলনার ব্যাটাররা। ওপেনিংয়ে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইমরুল কায়েস। অ্যালেক্স রস ৮ বলে ৪ রান করে খুলনার চাপ বাড়িয়েছেন।
বরিশালের বোলারদের সামনে শুরু থেকেই ভুগেছেন নাঈম। তিন নম্বরে উইকেটে আসা মিরাজও পারেনটি টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে। আর তাতেই ম্যাচ থেকে কিছুটা ছিটকে যায় খুলনা। মিরাজ ২৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে দলের চাপ বাড়িয়েছেন শুধু।
ফিফটির দেখা পেয়েছেন নাঈম। তবে শুরুর দিকে তার ধীরগতির ব্যাটিংয়ের কারণে এই ফিফটি কোনো কাজেই আসেনি। শেষ পর্যন্ত ৫৯ বলে ৭৭ রান করে আউট হয়েছেন নাঈম। আফিফ হোসেন ধ্রুব চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার ১৭ বলে ২৭ রানের ইনিংসটি খুলনার হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে শুধু।
বরিশালের হয়ে চার ওভারে ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছেন জাহানদাদ খান। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুলনার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বরিশালের ব্যাটাররা। প্রথম ওভারেই তামিম ও মালানকে ফেরান মিরাজ। দুজনেই মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ নবী তেমন কিছুই করতে পারেননি।
তবে তাওহীদ হৃদয়ের (৩০ বলে ৩৬), মাহমুদউল্লাহর (৪৫ বলে ৫০) ও রিশাদ হোসেনের (১৯ বলে ৩৯) রানের সুবাদে ১৬৭ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। খুলনার বোলাররা প্রায় সবাই দারুণ বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ২ উইকেট নিতে সালমান ইরশাদ খরচ করেছেন ৪ ওভারে ১৯ রান।