নিজস্ব প্রতিবেদক: চিত্রাভিনেতা শাকিব খানের দল ঢাকা ক্যাপিটালস অনেক চড়ই উতরাই পেরিয়ে জয় পেয়েছিলো একটি। সেটা বিপিএলে টানা ছয় হারের পর। এবার আরও একটি জয় পেলো তারা। এই জয় নিয়ে কোয়ালিফাই রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে রাজধানীর দলটি। সেই লক্ষ্যে চিটাগং কিংসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল থিসারা পেরেরার দল। ঘরের মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি চিটাগং। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে তারা।
গত ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা নাঈম ইসলাম এদিন বেশ ভুগেছেন। ঢাকার বোলারদের সামনে সুবিধাই করতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টির দাবি অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারেননি ডানহাতি এ ব্যাটার। ৪০ বলে ৪৪ রান করে ফিরেছেন নাঈম। আরেক ওপেনার জুবায়েদ আকবারী খেলেছেন ১৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস।
চিটাগংয়ের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো করা গ্রাহাম ক্লার্ক এদিন ঝড় তুলতে পারেননি। ১৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৯ রান করে ফিরেছেন তিনি। একাদশে সুযোগ পাওয়া হোসেইন তালাত হয়েছেন ব্যর্থ। শামীম হোসেন পাটোয়ারী, হায়দার আলী ও মোহাম্মদ মিঠুনরা পারেননি তেমন কিছুই করতে। ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও নাজমুল ইসলাম অপু।
রান তাড়ায় ঢাকাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। একপ্রান্তে এলকেডি দেখেশুনে খেললেও তামিম ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। দুজনের প্রথম উইকেট জুটিতে ৯ ওভারে ওঠে ৭৫ রান। লিটনকে ফিরিয়ে চিটাগংকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তালাত। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে এলকেডির ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ রান।
লিটন ফিরলেও ঠিকই তান্ডব চালিয়েছেন তানজিদ। ২৮ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ঢাকার এ ওপেনার। এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন বাহাতি এ ব্যাটার। দলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় ৯০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ। সাব্বির রহমান খেলেছেন ৯ বলে ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংস। চিটাগংয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন হোসেইন তালাত ও আলিস আল ইসলাম।