শিরোনাম
◈ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান  হান্নান অস্ত্রসহ গ্রেফতার  ◈ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস ◈ নতুন রাজনৈতিক দল আসছে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে (ভিডিও) ◈ জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা ◈ ‘দায়মুক্তি’ শিরোনামে আওয়ামী লীগের লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা ◈ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: ট্রাম্পকে সৌদির পাল্টা জবাব ◈ এবার যশোরেও ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি ◈ যুব চ্যাম্পিয়নশিপে  ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার কষ্টের জয় ◈ লন্ডনে লিফলেট বিতরণে যে নাটক করলেন আওয়ামী লীগ নেতারা, নিতে প্রত্যাখ্যান ব্যবসায়ী! (ভিডিও) ◈ গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক কতটা?

প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:২১ রাত
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়, সরকারি ভাষা- ক্রিকেটার অশ্বিনের মন্তব্যে উত্তপ্ত ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতে হিন্দিকে ‘এক দেশ এক ভাষা’ হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার, তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর কাছে এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে তামিলনাড়ু, বিশেষত, হিন্দি ভাষার প্রতি প্রতিবাদ জানাতে কখনোই পিছপা হয়নি। এবার এই ইতিহাস আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন তামিলনাড়ু থেকে উঠে আসা প্রখ্যাত ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি কলেজের অনুষ্ঠানে অশ্বিন সাফ জানিয়ে দেন, হিন্দি ভারতের শুধু সরকারি ভাষা, রাষ্ট্রভাষা নয়। এটি কাজের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তার এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে উত্তর ভারতের ভাষাগত তর্ক নতুন কিছু নয়, তবে অশ্বিনের বক্তব্য একেবারে সোজাসাপ্টা ছিল। চ্যানেল২৪ 

অশ্বিন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় জিজ্ঞেস করেন, এখানে ইংরেজি কত জন বোঝে? বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উত্তর দেন, তারা ইংরেজি বোঝেন। এরপর তামিল ভাষা নিয়েও তিনি প্রশ্ন করেন এবং সেই প্রশ্নেরও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসে। কিন্তু যখন হিন্দি ভাষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন অনেকেরই সাড়া কমে যায়। এই পরিস্থিতি দেখেই অশ্বিন বলেন, হিন্দি আমাদের সরকারি ভাষা, রাষ্ট্রভাষা নয়।

ভারতের সংবিধানে হিন্দি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, তামিলনাড়ুতে ১৯৩০-৪০ এর দশকে যখন হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, তখন তীব্র প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। তামিল জনগণের দাবি ছিল, তাদের মাতৃভাষাই তাদের জাতির পরিচয়, এবং সেটি রক্ষা করা উচিত।

এই মন্তব্যের পর রাজনীতির অঙ্গনেও আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষত দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলোতে, যেখানে হিন্দি ভাষার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়