নিজস্ব প্রতিবেদক : ইনিংসের শুরু ভালো হয়নি ফরচুন বরিশালের। ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিচলিত দক্ষিণবঙ্গের দলটি। পর পর দুই উইকেট হারানো দলটি পরবর্তীতে এতোটাই তেজদীপ্ত হয়ে উঠবে, তা যেনো কল্পনাতীত। কাইল মেয়ার্স আর তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে উতরে যায় বরিশাল।
এই দুই ব্যাটারের বিপক্ষে সিলেটের বোলাররা যেন কোন উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ১২৬ রানের লক্ষ্য বরিশাল পেরিয়ে গেছে ৯.৩ ওভার বাকি থাকতেই। সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেটে জয়ের জন্য ১২৬ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। অফ স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটকিপার জাকির হাসানের গ্লাভসে। আগের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস খেলা তামিম এবার ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক মেরে।
পরের ওভারে আউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া বাঁহাতি ওপেনার ছিলেন না আগের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে। সিলেটের বিপক্ষে একাদশে ফিরলেও ব্যাট জ্বলে উঠতে পারেননি শান্ত। তানজিম হাসান সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে চার মেরে রানের খাতা খুললেও আউট হয়েছেন তাঁর বলেই।
ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে হুক করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে জাকিরকে ক্যাচ দিয়েছেন ৪ রানে। মাত্র ৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেয়ার্স ও হৃদয়। তাদের দুজনের ১১৬ রানের জুটিতে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বরিশাল। মেয়ার্স ৫৯ রানে অপরাজিত থাকলেও হৃদয় আউট হয়েছেন ৪৭ রানে। এদিকে রংপুরের বিপক্ষে হারলেও বাকি তিন ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১২৫/১০ (১৮.২ ওভার) (আরিফুল ৩৬, মানজি ২৮) (রিশাদ ৩/১৫, জাহাদাদ ৩/১৮)
ফরচুন বরিশাল- ১২৬/৩ (১০.৩ ওভার) (তামিম ০, শান্ত ৪, হৃদয় ৪৮, মেয়ার্স ৫৯*)