স্পোর্টস ডেস্ক : নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের সাথে অফিশিয়াল ফটোসেশন শেষে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে এই মন্তব্য বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। জুলাই বিপ্লবের পর বিসিবির সভাপতি হয়েছেন ফারুক। এরপর উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। বেশ কিছু পরিচালক না থাকায় বিকল্প উপায়ে বোর্ড চালিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভালো খারাপের সংমিশ্রণ ছিল ফারুক অধ্যায়ে। যেটা অকপটে মেনে নিয়েছেন ফারুক।
বোর্ড সভাপতি বলেন, আপনি যদি শুধু পরিসংখ্যান দেখেন, এটা ছিল ভালো খারাপের সংমিশ্রণ। আমরা পাকিস্তানে দুটি সিরিজ জিতেছি, ভারতে দুটি টেস্টই হেরেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে একটা করে টেস্ট জিতেছি আর হেরেছি। ঢাকায় আবার দুটি হোম সিরিজ হেরেছি। আবার টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তাদের হারিয়েছি। এটা সংমিশ্রণ বলতে পারেন।
ফারুক আরও বলেন, আমরা যাই করি ফলাফলের দিকটা ভেবেই করি, কিন্তু ফলাফল পেতে হলে আপনাকে কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাওয়া দরকার। প্রক্রিয়া যদি আমরা ঠিক করতে পারি, এটা কিন্তু লজিক্যাল সিকুয়েন্স যে ফলাফল আসবেই। আমার মাত্র চার মাস হয়েছে আপনি বললেন। চার মাসে ম্যাজিকাল কিছু করা যাবে না।
বোর্ড সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক কাজ করেছেন ফারুক। ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে নজর দিয়েছেন। এছাড়াও ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অযথা পোস্ট দেওয়া থেকেও বিরত রেখেছেন তিনি।
বোর্ড সভাপতি বলেন, কিছু জিনিসে আমি জোর দিয়েছি, যেমন ক্রিকেটাররা যেটাই খেলুক বোর্ড থেকে এটা নিয়ে আমি বলেছি যে কিছুই বলা যাবে না কারো। আবার খেলোয়াড়রা যখন খুব ভালো খেলে, আগে দেখতাম ওরা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিত, এগুলো এখন কমেছে।
ফারুক আরও বলেন, আমার মনে হয় একটা অর্গানাইজেশনে এই কোওর্ডিনেশনটা খুবই প্রয়োজন, আমরা তো এক সঙ্গেই কাজ করি। যেমন আপনারা স্পোর্টস সাংবাদিক, আপনারা তো সমালোচনা করবেনই। তো এটা যদি গঠনমূলক হয় তাহলে আমাদেরও সুবিধা হয়।