স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএল শুরুর আগেই দুই দলের মাঝেই ছিল উত্তেজনা। অ্যালেক্স হেলসকে তো একপ্রকার ছিনতাই করে ঢাকা ক্যাপিটালস থেকে নিজেদেরে দলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। ম্যাচে হেলসকে আউট করে তো সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে জ্বালাময়ী পোস্টও দিয়েছে রাজধানীর দলটি। তবে মাঠের লড়াইয়ে রংপুরের কাছে পাত্তাই পায়নি ঢাকা। তিস্তা পাড়ের দলটির দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫১ রানে থেমেছে লিটন কুমার দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা। প্রথম ম্যাচে তাদের হারের ব্যবধান ৪০ রান। - ডেইলি ক্রিকেট
টস জিতে রংপুরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান থিসারা পেরেরা। ঢাকা অধিনায়কের লক্ষ্যটা ছিল পরিষ্কার, যতটা কম রানে সম্ভব রংপুরকে আটকে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে ২০ রানের মধ্যেই রংপুরের দুই ওপেনারকে ফেরান রাজধানীর দলটির বোলাররা। ৭ বলে ১৪ রান করেন স্টিভেন টেইলর। আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস করেছেন ৬ বলে ৫ রান।
এরপর উইকেটে এসে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান ও ইফতেখার আহমেদ। দুজনেই শুরুতে ঢাকার বোলারদের দেখেশুনে খেলেছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তারা। তবে দুজনেই ফিরেছেন ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে। ৩৩ বলে ২টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ৪০ রান করে ফিরেছেন সাইফ। ইফতেখার করেছেন ৩৮ বলে ৪৯ রান।
৫ নম্বরে নেমে ঝড় তুলেছেন খুশদিল শাহ। ঢাকার বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন পাকিস্তানি এ অলরাউন্ডার। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। ১১ বলে ২৫ রানের ক্যামিও খেলেছেন রাইডার্স কাপ্তান। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন খুশদিল।
ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ শিকার করেছেন ২টি উইকেট।
রান তাড়ায় ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার লিটন ও তামিম। ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান যোগ করেন তারা। লিটন ও তামিম করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। তবে ঢাকাকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন শেখ মাহেদী হাসান। ৬৫-৭৫ এই রানের মধ্যে ঢাকার ৪ উইকেট নিয়ে রংপুরকে স্বস্তি এনে দেন তিনি। ২১ বলে ৩০ রান করা তানজিদ, ২৭ বলে ৩১ রান করা লিটনের পর হাবিবুর রহমান সোহান ও ফারমানুল্লাহকে ফেরান মাহেদী।
এরপর চেষ্টা করেছিলেন স্টিফেন স্কিনাজি ও পেরেরা। ৮ বলে ১৭ রান করে ফেরেন ঢাকার কাপ্তান। স্কিনাজি টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি। ২১ বলে ১৭ রান করে ঢাকার চাপ বাড়িয়েছেন তিনি। যেটা আর পরে সামাল দিতে পারেনি রাজধানীর দলটি। রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মাহেদী।