নিজস্ব প্রতিবেদক : দুরন্ত রাজশাহীর রান বন্যার ম্যাচে পরাজয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলো ফরচুন বরিশাল। কিন্ত না, পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অনমনীয় ব্যাটিং তা-বে উতরে যায় বরিশাল। রাজশাহীর দেওয়া ১৯৮ রানের লক্ষ্য ১১ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই টপকে গেছে ফরচুন বরিশাল। প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
টস জিতে রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ২৫ রানের মধ্যে পদ্মা পাড়ের দলটির দুই ওপেনার জিসান আলম ও মোহাম্মদ হারিসকে ফেরান কাইল মেয়ার্স। বিপিএলের অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি জিসান। মেয়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি।
আরেক ওপেনার হারিস শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কা মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। মেয়ার্সের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হারিস। তার আগে করেছেন ১২ বলে ১৩ রান।
এরপর জুটি গড়েন বিজয় ও রাব্বি। দুজনে প্রথমে সময় নিয়েছেন। বরিশালের বোলারদের দেখেশুনে খেলেছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন বিজয় ও রাব্বি। রাজশাহী অধিনায়কের তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রাব্বি।
বিজয় ৪২ বলে তুলে নেন টুর্নামেন্ট ও নিজের প্রথম ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৬৫ রান করে থামেন বিজয়। তাতে ভাঙে রাব্বির সাথে তার ৮৭ বলে ১৪০ রানের জুটি।
৩৫ বলে বিপটি পূর্ণ করেন রাব্বি। এরপর আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। সেঞ্চুরি মিসের হতাশাা থাকতেই পারে তার। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৮ ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন রাব্বি।
বরিশালের হয়ে ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মেয়ার্স। একটি উইকেট নিতে ফাহিম আশরাফ খরচ করেছেন ৪ ওভারে ৪২ রান।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশাল। জিসানের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিমও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৫ বলে ৭ রান করেছেন বরিশাল কাপ্তান। মেয়ার্সকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। ৫ বলে ৬ রান করেছেন বিধ্বংসী এ ব্যাটার।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। ২৩ বলে ৩২ রান করেছেন হৃদয়। মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১১ বলে ১৩ রান। শাহিন আফ্রিদি তুলেছিলেন ঝড়। ১৭ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
তবে বরিশালকে ম্যাচে রাখেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফ। দুজনেই রাজশাহীর বোলারদের ওপর চালিয়েছেন তান্ডব। ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার। ফাহিম খেলেছেন ২১ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।
রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন লাহিরু সামারাকুন।