স্পোর্টস ডেস্ক: অনেক দিন ধরেই দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন না সাকিব আল হাসান। সর্বশেষ ভারত সিরিজের পর থেকেই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা হয়নি তার। ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার কথা ছিল এই অলরাউন্ডারের। তীব্র আন্দোলনের মধ্যে সেটাও সম্ভব হয়নি।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সাকিবের খেলা হবে কিনা তা নিয়েও চলছে জল্পনা কল্পনা। সাকিব যদিও ব্যস্ত আছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। আবুধাবি টি-টেনের পর এই অলরাউন্ডার খেলেছেন লঙ্কা টি-টেনেও। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
তবে সাকিবের বাংলাদেশে খেলতে না পারাকে নিজেদের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সাকিবকে এক সময় থামতেই হতো। ক্যারিয়ারের শেষে রাজনীতি করলেও সাকিবের আসল পরিচয় ক্রিকেটার এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল কোচ।
চলতি বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন সুজন। বৃহস্পতিবার থেকে তারা নিজেদের অনুশীলন শুরু করছেন। অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাকিব ইস্যুতে কথা বলেছেন তিনি।
সুজন বলেন, সাকিব এক নম্বর সেরা প্লেয়ার। সাকিব না থাকাটা....সাকিব সারা জীবন ক্রিকেট খেলবে না এটাও সত্যি কথা। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলতে পারছে না এটা একরকম ব্যর্থতাই আমাদের জন্য আমি মনে করি। রাজনীতি করেছে তার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে। কিন্তু সারা বাংলাদেশের মানুষ তাকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে চেনে, বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হিসেবেই। ওর উত্থানটা ক্রিকেটার হিসেবে। রাজনীতি করেছে, কতটা অন্যায় করেছে এটা আমি বলতে পারব না।
সাকিবের ১৫ বছরের ক্যারিয়ারের সঙ্গে তার ৮ মাসের রাজনীতি মিলিয়ে ফেলা উচিত হচ্ছে না বলেও মনে করেন সুজন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব। বিপিএলে তার না থাকাটা হতাশার বলে জানিয়েছেন সুজন। অনেক ক্রিকেটারকেও সাকিবের শূন্যতা পোড়াবে বলে বিশ্বাস তার।
সুজন বলেছেন, ওরা ৮ মাসটা এত বড় লম্বা ক্যারিয়ারের সাথে মিলিয়ে ফেললাম এটাই সবথেকে...। আমার মনে হয় দেশের সবথেকে বড় প্লেয়ার বিপিএল খেলতে পারবে না। এতে প্লেয়াররা অনেক হয়তো হতাশ, সবাই মাইকের সামনে বলতেও পারে না কিন্তু আমি মনে করি যে সব প্লেয়ারের সাথেই সাকিবের বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিল। সাকিব সবসময় সাপোর্ট করে হেল্প করে সবাইকেই। খারাপ লাগছে আর কি এটাই।
আপনার মতামত লিখুন :