নিজস্ব প্রতিবেদক : বিসিবির ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম আয়োজন এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে নিলো রংপুর বিভাগ। ফাইনালে তাদের কাছে পাত্তাই পেলো না ঢাকা মেট্রো। এই দলটিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে রংপুর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ত্ব প্রমাণ করলো। মেট্রোর দেওয়া ৬৩ রানের টার্গেট ৫ উইকেট ও ৪৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে আকবর আলীর দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে মেট্রোকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান আকবর। রংপুর অধিনায়কের লক্ষ্যটা ছিল পরিস্কার, যতটা কম রানে সম্ভব মেট্রোকে আটকে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে বোলাররা করেছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। অথচ প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে মেট্রোকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইমরানুজ্জামান। তবে তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ইমরানুজ্জামানকে আরিফ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। ৩ বলে ৪ রান করে ফেরেন মেট্রোর ওপেনার।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ পারফরম্যান্স করা মোহাম্মদ নাঈম শেখ ফাইনালে এসে ভালো করতে পারেননি। দুই বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি মেট্রো অধিনায়ক। আনিসুল ইসলাম, গাজী তাহজিবুল ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরেই। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
তবে শামসুর রহমান শুভ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে থামান চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। রংপুরের এ পেসারের বলে আকবরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন শুভ। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বলে ১৪ রান। ৯ বলে ১৩ রান করেছেন আবু হায়দার রনি।
রংপুরের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও আলাউদ্দিন বাবু। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, রবিউল হক ও আরিফ আহমেদ।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। ১৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল তিস্তা পাড়ের দলটি। রিজওয়ান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরে। নাঈম ইসলাম ও আকবর আলী রানের খাতা খুলতেই পারেননি।
তবে বিপদ থেকে তাদের রক্ষা করেছেন তানবীর হায়দার ও আরিফুল হক। দুজনের ২৪ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে রংপুর। ১১ বলে ১৪ রান করে আরিফুল ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর আনামুল হক আনামকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন তানবীর। ২০ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন তানবীর, ৯ বলে ১৪ রান করে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আনাম।