স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়, তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে বড় ধাক্কা খেলেন। ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর, এক পরীক্ষার ভিত্তিতে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তার বোলিং অ্যাকশন ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছে এবং তাকে ইংল্যান্ডের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করেছে। এতে করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বাংলাদেশের হয়ে তার খেলার ওপর প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আইসিসির ‘রেগুলেশন্স ফর দ্য রিভিউ অব বোলার্স রিপোর্টেড উইথ সাসপেক্ট ইলিগ্যাল বোলিং অ্যাকশনস’ অনুযায়ী, সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তার বোলিং করা এখন বাধার মুখে পড়তে পারে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার খেলার বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস। - চ্যানেল২৪
তিনি বলেন, ইসিবির সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে। আইসিসির সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করেছি। আইসিসির নিয়ম অনুসারে, কোনো খেলোয়াড় যদি কোথাও নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়, তবু তিনি নিজ দেশের ঘরোয়া লিগ খেলতে পারবেন।
আইসিসির নীতিমালার ১১.৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বোলিং নিষেধাজ্ঞা পাওয়া খেলোয়াড় তার নিজ দেশের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত সীমারেখা বজায় রেখে বোলিং চালিয়ে যেতে পারেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ক্ষেত্রে ১১.৩ ধারা কঠোর বিধি আরোপ করে। কোনো বোলার যদি একটি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে তার বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা পুনঃপ্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কার্যকর হবে।
লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় সাকিবের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা বোলিং অ্যাকশনের সীমা লঙ্ঘন করে। এই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে সাকিবকে নিরপেক্ষ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এবং তার বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করতে হবে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার জন্য সাকিবের কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও, রাজনৈতিক কারণে তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হতে পারে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে শেষ টেস্ট খেলতে দেশে আসতে চাইলেও জনরোষ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তিনি তা পারেননি। একই কারণে বিপিএলেও তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত।
আপনার মতামত লিখুন :