স্পোর্টস ডেস্ক: তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল জাতীয় দলে ফেরার এবং ‘সেলেসাও’কে নেতৃত্ব দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি ফরাসি গণমাধ্যম ‘আরএমসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামা এবং দেশকে বিশ্বসেরার আসনে পৌঁছে দেয়া।
ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি নেইমারের প্রধান লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ। তিনি ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে চান এবং দেশকে শিরোপা এনে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ‘আরএমসি’কে নেইমার বলেন, বিশ্বকাপ প্রতিটি খেলোয়াড়ের স্বপ্ন। আমি তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছি এবং চতুর্থবারের মতো খেলতে চাই। এখন আমাকে ফিটনেস ফিরে পেতে হবে এবং ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। - চ্যানেল২৪
নেইমার ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে ১৩ ম্যাচে ৮টি গোল এবং ৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তবে তার বিশ্বকাপ যাত্রা চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। ২০১৪ সালে পিঠের চোটের কারণে জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি এবং সেই ম্যাচে ব্রাজিল ১-৭ গোলের লজ্জাজনক পরাজয়ের শিকার হয়। ২০১৮ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়। ২০২২ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে নেইমারের স্বপ্ন ভেঙে যায়।
নেইমার ফুটবল ইতিহাসে এক অসাধারণ প্রতিভা হিসেবে পরিচিত। সান্তোস, বার্সেলোনা এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইতে তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে। তবে বর্তমানে আল-হিলালে খেলার সময় চোটের কারণে নিজের সেরা ফর্ম দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন নেইমার।
নেইমারের বর্তমান ক্লাব আল-হিলালের সঙ্গে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। তবে গুঞ্জন রয়েছে, তিনি শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে সান্তোসে ফিরে যাওয়া বা ইন্টার মায়ামিতে লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে খেলার কথাও শোনা যাচ্ছে। যদি বার্সেলোনার বিখ্যাত ‘এমএসএন’ ত্রয়ী আবারও একত্র হয়, তবে তা ফুটবল বিশ্বে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করবে।
প্রসঙ্গত, নেইমার ব্রাজিলের হয়ে ২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপ এবং ২০১৬ সালে অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতেছেন। তবে ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হন। এখন ২০২৬ বিশ্বকাপকে নিজের ‘শেষ নাচ’ হিসেবে দেখছেন নেইমার, যেখানে তিনি দেশের হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
৩৪ বছর বয়সে বিশ্বকাপে অংশ নিলে নেইমার যদি তার সেরা ফর্মে ফিরতে পারেন, তবে ‘সেলেসাও’-এর জন্য তিনি হতে পারেন এক অমূল্য সম্পদ। এখন সময়ই বলে দেবে, ব্রাজিল দল তাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয় কিনা এবং তার স্বপ্ন সফল হয় কিনা।
আপনার মতামত লিখুন :