স্পোর্টস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিশ্বভ্রমণ শুরু হয়ে গেলেও আদৌ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে কিনা এখনও সেটার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একেবারে শুরু থেকেই পাকিস্তানে না যাওয়ার অবস্থানে অনড় ভারত। আয়োজক পিসিবিও সরে আসতে রাজী নয় নিজেদের অবস্থান থেকে। ভারতের পক্ষ থেকে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিলেও বেশ কয়েকবার সেটা নাকচ করে দিয়েছে আয়োজক পাকিস্তান।
যদিও কদিন আগে হাইব্রিড মডেলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রাজী হয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের এমন খবর জানালেও সেখানে দুটি শর্ত জুড়ে দেয়ার কথাও প্রকাশ করেছিল। প্রথম শর্ত অনুযায়ী, শর্ত অনুযায়ী লভ্যাংশ বৃদ্ধি ও ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল পিসিবি। দ্বিতীয় শর্তে পাকিস্তানও কোন টুর্নামেন্ট খেলতে ভারতে যাবে না। তবে এমন প্রস্তাব এগোনোর আগেই না করে দিয়েছে বিসিসিআই। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
নতুন খবর হচ্ছে, ভিন্ন এক শর্তে পাকিস্তান ও ভারতের মন গলাতে পেরেছে আইসিসি। ভারতের চাওয়া মতো হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে দেখা যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। নিজেদের সবগুলো ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে ভারত। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা যদি সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে যায় তাহলে সেই ম্যাচগুলোও দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের এমন প্রস্তাবে রাজী হলেও নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নিয়েছে পিসিবি। ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কা ও ভারত মিলে আয়োজন করবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যেখানে একই গ্রুপে থাকতে পারে ভারত ও পাকিস্তান। হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চুক্তিতে পিসিবি জানিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে তারাও সেই দেশে যাবে না।
পাকিস্তানের চাওয়া অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আয়োজন করতে হবে ভারতের সেই ম্যাচটি। ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, পিসিবির এমন প্রস্তাবে রাজীও হয়েছে ভারত। ফলে আগামী কয়েকদিনের মাঝেই আসতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হলেও সেটার জন্য ক্ষতিপূরণ পাবে না পাকিস্তান।
আপনার মতামত লিখুন :