স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ান স্টিভেন স্মিথের চলতি বছর ব্যাট হাতে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে যেন রান করতেই ভুলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা ব্যাটার। আর তাই ছন্দে ফিরতে সাবেক সতীর্থ মাইক হাসির পরামর্শে অনুশীলনে নতুন পদ্ধতি গ্রহণের কথা চিন্তা করছেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট চলাকালীন হাসির সঙ্গে আলোচনা করেন স্মিথ। ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার ব্রিসবেনে তৃতীয় টেস্টের আগে বেশ চাপের মুখে আছেন। প্রথম দুই টেস্টে তিন ইনিংসে তার মোট রান মাত্র ১৯। - অলআউট স্পোর্টস
চলতি বছরের শুরুতে ওপেনার হিসেবে টেস্টে খেলা শুরু করেছিলেন স্মিথ। তবে সে পজিশনে এক কথায় ব্যর্থই ছিলেন বলা চলে। চার টেস্টের আট ইনিংসে করেন মাত্র ১৭১ রান, সর্বোচ্চ ৯৯*। এরপর ভারত সিরিজের শুরুতে আবারও নিজের পছন্দের চার নম্বর পজিশনে ফিরে আসেন তিনি। আর এ বছর এখন পর্যন্ত খেলা ৭ টেস্টে ২৩ দশমিক ২০ গড়ে তিনি রান করেছেন মোটে ২৩২।
কিন্তু নিজের পুরোনো ছন্দে এখনও ফিরতে পারেননি এই ব্যাটার। দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো টেস্ট ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশের বাইরে চলে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, স্মিথ পরামর্শ নিয়েছেন হাসির, যিনি ৩৫ বছর পেরোনোর পর ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছিলেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে হাসি বলেন, স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন অনেক বল খেলে, কঠোর অনুশীলনে করে এবং বিশাল প্রস্তুতি নেয়। আমি তাকে (স্মিথ) বলেছিলাম, 'তোমার এত বল খেলার প্রয়োজন আছে কিনা সেটা ভাবো। এটা কি আসলে সাহায্য করছে, নাকি ক্ষতি করছে?
আমার মতে, তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য বেশি অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি, বেশি বল খেলে নিজেকে ক্লান্ত করা নয়, বরং মানসিক এবং শারীরিকভাবে সতেজ থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মিস্টার ক্রিকেট’ নামে পরিচিত হাসি ৩৫ বছর বয়সের পর আটটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং ২০১৩ সালে অবসর নেওয়ার সময় তার টেস্ট গড় ছিল ৫১ দশমিক ৫২।
হাসির পরামর্শ মেনে অ্যাডিলেইড টেস্টের আগের দিন অনুশীলন করেননি স্মিথ। ডানহাতি এই ব্যাটার আশায় ছিলেন, সতেজ থাকা অবস্থায় বড় ইনিংস খেলার। তবে তা সফল হয়নি। মাত্র ২ রান করে যশপ্রীত বুমরাহর বলে আউট হন তিনি।
স্মিথ বলেন, আদর্শ পরিস্থিতিতে আমি হয়তো প্রস্তুতিতে এত বেশি বল মারতাম না। কিন্তু যদি কোনো কিছু ঠিক করতে হয়, বা বিশেষ কোনো মুভমেন্টের ওপর কাজ করতে হয়, তবে শেষ মুহূর্তের অনুশীলন প্রয়োজন হতে পারে।
গত দুই বছরে উইকেটগুলো কঠিন হয়েছে। যারা রান করেছে, তারা সাধারণত বলের দিকে বেশি আগ্রাসী ছিল এবং দ্রুত স্কোর করেছে। ট্র্যাভিস হেড ও মিচেল মার্শ এর প্রধান উদাহরণ। আমার জন্য এটি ভারসাম্যের ব্যাপার। বোলারকে কিছুটা চাপে ফেলার চেষ্টা করতে হবে এবং কিছুটা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে সেই ধরনের উইকেটে কাজটা সহজ নয়।
আপনার মতামত লিখুন :