স্পোর্টস ডেস্ক: সিরিজের শেষ ম্যাচটি দুর্দান্ত খেলেছে জিম্বাবুয়ে। এই পারফরমেন্সের কারণে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো দলটি। সিরিজটি ছিলো তিন ম্যাচের। সিরিজটি পাকিস্তানের তরুণ দল এবং নতুন অধিনায়ক সালমান আগার জন্য পরীক্ষামূলক ছিল। পাকিস্তান প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ২ উইকেটে জিতে সিরিজ ২-১ এ সীমাবদ্ধ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১৩২ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে অধিনায়ক সালমান আলি আগার ব্যাট থেকে। জবাবে জিম্বাবুয়ে ২ উইকেট ও ১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়। দলের হয়ে অভিষিক্ত ব্রায়ান বেনেট সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন।
পাকিস্তানের দেয়া টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি ঝড়ো শুরু এনে দেন। ৩.২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান সংগ্রহ করেন। এরপর সালমান আলি আগা মারুমানিকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন। মাঝে ৭৩ রানের পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা জাগে স্বাগতিকদের মনে। কিন্তু শেষদিকে মাপোসা ৪ বলে ১২ রানের ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস খেললে জয় নিশ্চিত হয়। এ ছাড়া অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ১৯, মারুমানি ১৫ ও ডিওন মায়ার্স ১৩ রান করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে আব্বাস আফ্রিদি ৩টি, জাহানদাদ খান ২টি, সালমান আগা ও সুফিয়ান মুকিম একটি করে উইকেট নেন।
আগেই সিরিজ নিজেদের করে নেয়ায় শেষ ম্যাচে একেবারে তরুণ দল নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে সালমান আলি আগার নেতৃত্বের অধ্যায়ও শুরু হয় এই সিরিজে। তবে শুরুটা পাকিস্তানের ভালো হয়নি। দলীয় ১৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা হতেই তিন টপ-অর্ডারকে হারায়।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ছোট ছোট ইনিংস খেলেন পাক ব্যাটাররা। অধিনায়ক সালমান আগা ওয়ানডে মেজাজে খেলে ৩২ বলে ৩২ রান করেন। এটিই ছিল পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচটিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। এ ছাড়া আরাফাত মিনহাস ২২, তৈয়ব তাহির ২১, কাসিম আকরাম ২০ ও আব্বাস আফ্রিদির ১৫ রানে ভর করে পাকিস্তান ১৩২ রান সংগ্রহ করে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এ ছাড়া রিচার্ড এনগারাবা, রায়ান বার্ল, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, তিনোতেন্দা মাপোসা একটি করে উইকেট শিকার করেন।