নিজস্ব প্রতিবেদক: বোলিং ও ফিল্ডিং খুব একটা ভালো ছিলো না বাংলাদেশ নারী দলের। যে কারণে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ড করেছে ১৭০ রান। আটের উপরে রান রেট। যারা ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিকদের কাছে, সেই আয়ারল্যান্ড এতোটা বেপরোয়া টি-টোয়েন্টিতে যে বাংলাদেশ তাদের সামনে শেষ দিকে খেই হারিয়ে ফেলে।
বাংলাদেশ ১৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে চলে আসে ১০৩ রান। অথচ এমন ম্যাচই কিনা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হারলো ১২ রানে। সিলেটে আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে তীরে এসে তরী ডুবালো বাংলাদেশ নারী দল। ছেলেদের ক্রিকেট হোক কিংবা মেয়েদের, যুব দল কিংবা, সিনিয়র বাংলাদেশ ক্রিকেটে জেতা ম্যাচ হারার ঘটনা যেনো নিয়মিত। যার সর্বশেষ নিদর্শন সিলেটে মেয়েদের আজকের ম্যাচ।
আগে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড করেছে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান। লিয়াহ পল অপরাজিত ৭৯ ও অধিনায়ক গ্যাবি লুইস করেছেন ৬০ রান। জবাবে বাংলাদেশ থামলো ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে। দারুণ শুরু এনে দেওয়া দিলারা আক্তারের ব্যাটে সর্বোচ্চ ৪৯ রান। আরেক ওপেনার সোবহানা মোস্তারি করেছেন ৪৬ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আইরিশ ফিল্ডারদের কাছে সহজ ক্যাচ দিয়েও একাধিকবার বেঁচে যান বাংলাদেশের দুই ওপেনার দিলারা ও সোবহানা। তবে সেটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি দুইজন। উদ্বোধনী জুটিতে গড়েছেন দেশের হয়ে রেকর্ড। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই রবোর্ডে ৫৬ রান। ১১.১ ওভারে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১০০ রান।
কিন্তু জুটিতে ১০৩ রান আসার পরই খেই হারায় সোবহানা। ৩৫ বলে ৩ চারের সাথে ২ ছক্কায় ৪৬ রান করে আউট হন টাইগ্রেস ব্যাটার। এরপরই শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। ফিফটি থেকে ১ রান দূরে থাকা দিলারাও ফিরলেন বাজেভাবে। ৪১ বলে সমান দুইটি করে চার, ছক্কায় ৪৯ রান তার নামের পাশে।
সোবহানা-দিলারার পর একে একে ব্যর্থ নিগার সুলতানা জ্যোতি (৪), তাজ নেহার (১), রতু মনি (০), জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা (০)। যা একটু চেষ্টা করেছেন ১৪ বলে ১৯ রান করা তাজ নেহার। বিনা উইকেটে ১০৩ থেকে ১৫৩ রানে ৭ উইকেট বাংলাদেশের।
১৩ বলে অপরাজিত ২৩ রান করে শারমিন আক্তার শেষদিকে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলেন বাকিদের আসা যাওয়া। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে থামে স্বাগতিকরা।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানেই ওপেনার অ্যামি হান্টারকে (১০ রান) ফেরান জাহানারা আলম। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান আইরিশদের স্কোরবোর্ডে। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান।
কিন্তু পরের ৫ ওভারেই তান্ডব চালায় আইরিশ দুই ব্যাটার লিয়াহ পল ও গ্যাবি লুইস। দুজনে মিলে ১৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে ১৩০ রান। অর্থাৎ ১১ থেকে ১৫ এই ৫ ওভারে আসে ৬৩ রান।
দলীয় ১৫৩ রানে ৪২ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় গ্যাবি লুইস ৬০ রান করে আউট হন। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন লিয়াহ পল। ৪৫ বলে ১০ চার ২ ছক্কায় তার নামের পাশে ৭৯ রান। আয়ারল্যান্ড পেলো ৫ উইকেটে ১৬৯ রানের পুঁজি।