স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়াচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু ভারত স্বাগতিক পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানালে বেকায়দায় পড়ে যায় আইসিসি। ইতো মধ্যে ট্রফি ট্যুর শুরু হয়েছে, কিন্তু এখনও জটিলতা কাটেনি আয়োজক নিয়ে। ভারতীয় গণমাধ্যমে কখনও খবর আসছে টুর্নামেন্ট হবে হাইব্রিড মডেলে, আবার পাকিস্তানি মিডিয়া অস্বীকার করছে সেই তথ্য। আবার নতুন খবর শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তান রাজি না হলে, টুর্নামেন্ট অন্য কোন দেশে সরিয়ে নেবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি চূড়ান্ত করতে আইসিসির বৈঠক। সেখানে পাকিস্তানকে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে সমাধানের ভাবনা আইসিসির। শোনা যাচ্ছে, হাইব্রিড মডেলে রাজি করাতে পাকিস্তানকে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে।
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কীভাবে হবে, তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পাকিস্তানের দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আবার হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা আয়োজনে নারাজ। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও চিন্তায় আইসিসি কর্তারা।সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব টালমাটাল।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ক বন্ধ রয়েছে। কোনও বহুদলীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যও পাকিস্তানে যায় না ভারতীয় ক্রিকেট দল। গত বছর এশিয়া কাপের সময়ও রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে পাঠায়নি বিসিসিআই। ভারতের ম্যাচগুলিসহ বেশ কিছু খেলা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। সেভাবেই কি হবে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি? ভারতের ম্যাচগুলি কি অন্য কোনও দেশে হবে? না কি পুরো প্রতিযোগিতাই সরিয়ে দেওয়া হবে পাকিস্তান থেকে? সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন আইসিসি কর্তারা।
ভারত এবং পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজনের সম্ভাবনা অবশ্য নেই। আইসিসির এক কর্তা বলেছেন, ২৯ নভেম্বরের বৈঠকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি চূড়ান্ত করা হবে।
বিসিসিআই চায় গত এশিয়া কাপের মতো আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হোক হাইব্রিড মডেলে। পছন্দ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা বলেছেন বিসিসিআই কর্তারা। ভারতের এই প্রস্তাব মানতে নারাজ পিসিবি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতার আয়োজক পাকিস্তান। করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলির সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পিসিবি। বিপুল বিনিয়োগ করেছে তারা। ২০২১ সালে পাকিস্তানকে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছিল আইসিসি।
আপনার মতামত লিখুন :