২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমান নেইমার। ২০২৩ সালে ক্লাবটি যখন ছাড়েন, তখন ভিন্ন ভিন্ন চোটে ক্লাবটির হয়ে তিনি যা ম্যাচ খেলেন, তার চেয়ে বেশি ম্যাচ করেন মিস। আল হিলালে নাম লিখিয়ে গত মৌসুমে মাত্র পাঁচ ম্যাচ খেলে এসিএল চোটে ছিটকে যান এক বছরের জন্য। সম্প্রতি ফিরে দুই ম্যাচ খেলেই আবার চলে গেছেন মাঠের বাইরে। তাই গুঞ্জন রয়েছে তার ক্লাব ছাড়ার।
ফ্রি এজেন্ট হিসেবে নেইমারকে নেবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে পালমেইরাসের সভাপতি লেইলা করেননি কোনো রাখঢাক। নেইমার পালমেইরাসে যোগ দেবেন না। এই ক্লাব তো কোনো হাসপাতালের চিকিৎসা বিভাগ নয়। আমি এমন কাউকে দলে চাইব, যে অবিলম্বে দলে যোগ দিতে আসবে, আর কোচ চাইলে আগামীকালই খেলতে পারবে।
নেইমার এই দফায় চোট পাওয়ার পর ক্লাবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নাকি চিন্তিত আল হিলাল। মেডিকেল টিমের ধারণা, টানা ম্যাচ খেলার মত জায়গায় যেতে আরও সময় লাগবে ব্রাজিল তারকার। সাথে রয়েছে চোটের সম্ভাবনাও। আর এই কারণেই তারা আগামী জানুয়ারিতে তার চুক্তি বাতিলের চিন্তাও করছে।
নেইমারের শৈশবের ক্লাব সান্তোস তাকে বরণ করে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে প্রকাশ্যেই। তবে পালমেইরাস সভাপতি যেন সান্তোসকেও কটাক্ষ করলেন। বলেন, আমি আমাদের এমন একজন খেলোয়াড়কে দলে টানব না, যে কিনা খেলারই যোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারে নেইমারের শুরুটা নিজ দেশের ক্লাব সান্তোস থেকে শুরু হয়। এরপর ইউরোপে পাড়ি জমান তিনি। খেলেন বার্সেলোনা ও পিএসজিতে। ইউরোপ অধ্যায় শেষ করে নেইমার এখন এশিয়াতে। আল হিলাল ক্লাবের স্কোয়াড মেম্বার তিনি। তবে ইনজুরি যেন বরাবরই নেইমারকে নিজের ছায়ায় ফেলে রেখেছে। নেইমার আর চোট যেন এখন সমার্থক শব্দ। উৎস: যমুনা টেলিভিশন।
আপনার মতামত লিখুন :