এল আর বাদল : চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে পর্দার আড়ালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে খেলা জমে উঠেছে। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। এই ইস্যুতে সবচেয়ে বিপদে আছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তারাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক। এই খেলা বয়কট করলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে আইসিসির সব ইভেন্ট থেকে বাদ পড়তে পারে বাবর-রিজওয়ানরা।
এদিকে বিসিসিআইকে নতুন করে প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। গ্রুপ পর্বের অন্তত একটি ম্যাচ টিম ইন্ডিয়াকে লাহোরে খেলাতে চায় পাকিস্তান।
ভারতের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। মুখে যতই কঠোর অবস্থানের কথা বলুক, বাস্তবতা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রভাবের কাছে নত হতে হচ্ছে পিসিবিকে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে আইসিসির কাছে তিনটি উপায় আছে বলে মনে করেন পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
প্রথমত, ভারত পাকিস্তান সফর করবে। যেটা তারা ইতোমধ্যে না করে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, হাইব্রিড মডেল। তবে পিসিবি এ পদ্ধতিতে রাজি নয়। তৃতীয়ত, পুরো টুর্নামেন্ট অন্য কোন দেশে নিয়ে যাওয়া।
শেষটায়ও যদি পাকিস্তান রাজি না হয়, আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে তাহলে আইসিসির কোনো ইভেন্টে আর খেলার সুযোগ পাবে না দাবি নাজাম শেঠির। তখন যে পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়বে তা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারবে না পিসিবি।
এর মাঝেই দুটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে। আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছে ভারত। এতে আর্থিকভাবে লাভবানও হবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
তবে পাকিস্তানের একটি সূত্র বলছে, আইসিসির মাধ্যমে বিসিসিআইকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। ভারত তাদের গ্রুপ পর্বের অন্তত একটি ম্যাচ লাহোরে খেলবে। বাকি সব ম্যাচ যেখানে খেলতে চায় আপত্তি নেই পাকিস্তানের। তবে টিম ইন্ডিয়া ফাইনালে ওঠলে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে খেলতে হবে।
এদিকে পাকিস্তানে যেতে রাজি না হওয়ায় প্রশ্নের সম্মুখীন ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছু পাকিস্তানি সমর্থক সূর্যকুমার যাদব ও রিঙ্কু সিংকে সফর না করার কারণ জিজ্ঞেস করে। এই ক্ষেত্রে তারা যে নিরুপায় সেটাও প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :