স্পোর্টস ডেস্ক: এবার ফুটবল খেলায় দেখা যাবে ক্রিকেটের ছোঁয়া। ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারির (ভিএআর) জায়গা নিতে পারে ফুটবল ভিডিও সাপোর্ট (এফভিএস)। কাজ করবে ক্রিকেটের ডিসিশন রিভিউয় সিস্টেমের আদলে। ফুটবলাররা নয়, যার আবেদন করতে পারবেন কেবল কোচ। এখনও পরীক্ষামূলকভাবে ফিফার বয়সভিত্তিক আসরে প্রচলন শুরু হলেও বৃহৎ পরিসরে আনার পরিকল্পনা ফিফার। - ইএসপিএন
ফুটবলকে নিখুঁত করতে গিয়ে যান্ত্রিক করে ফেলার অভিযোগ ভিএআরের বিরুদ্ধে। অফসাইড থেকে ফাউল, গোল থেকে কর্ণার বা থ্রো ইন সিদ্ধান্ত নিয়ে বারবার রেফারির দিকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতেই চালু হয়েছিল এ পদ্ধতি। ৮ বছর পর সেই পদ্ধতি চ্যালেঞ্জের মুখে। একে বিপুল আর্থিক বিনিয়োগ অন্যদিকে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ ফুটবলারদের দিকে।
দীর্ঘদিন ধরে সমাধান খুঁজছিল ফিফা, পেয়েও গেছে একটা। যার নাম এফভিএস বা ফুটবল ভিডিও সাপোর্ট। এ বছরই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এই পদ্ধতি। যার প্রয়োগ দেখা গেছে অনূর্ধ্ব ২০ ও অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের বিশ্ব আসরে।
যা অনেকটা ক্রিকেটের ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের মত। যেখানে চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে মাঠের রেফারির সিদ্ধান্ত। তবে ক্রিকেটের মত অধিনায়ক নয় দায়িত্বটা নেবেন কোচ। প্রত্যেক ম্যাচে পাবেন দুটি করে। চ্যালেঞ্জ টিকে গেলে থেকে যাবে রিভিউ। ভুল প্রমাণ হলে কমবে। - চ্যানেল২৪
ফিফা রেফারিং কমিটির সভাপতি পিয়েরলুইজি কলিনা বলেন, আমরা ট্রায়ালের শুরুতে রয়েছি। অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূধ্বং-১৭ ফিফা মেয়েদের বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতাগুলো বিশ্লেষণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত কিছু লক্ষ্য করিনি। ভিএআর-এ রেফারির উপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগও কম নয়।
পিয়েরলুইজি কলিনা আরও বলেন, রেফারিকে রিভিউ শুরু করার সুযোগ দেয়ার অর্থ হল তাকে অতিরিক্ত চাপে রাখা, কারণ খেলোয়াড়রা প্রতিবার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় রেফারিকে মনিটরের কাছে যাওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাপ দেয়।
বিশ্বব্যাপী দুইশ’র বেশি টুর্নামেন্টে ভিএআর ব্যবহার করা হলেও এর বাইরে এখনও অনেক দেশ। যেহেতু মাত্র চার বা পাঁচ ক্যামেরায় হয়ে যাবে এফভিএস তাই ব্যবহার যেমন বাড়বে, কমবে খরচ। ফুটবলও হবে তুলনামূলক কম যান্ত্রিক।
আপনার মতামত লিখুন :