স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের সিরিজে সমতা ফেরাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। তাই জীবন বাজি রেখে খেলেছে শান্তবাহিনী। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৫২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য যা ছিল যথেষ্ট। আফগানিস্তানকে ১৮৪ রানে অলআউট করে দিয়ে ৬৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। স্লিপে গুরবাজের দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৮ বলে ২ রান করেছেন উইকেট কিপার এ ব্যাটার। - ডেইলি ক্রিকেট
এরপর উইকেটে আসা রহমতকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সেদিকুল্লাহ। দুজনেই খেলছিলেন দারুণ। টাইগার পেসারদের খুব একটা সুবিধা করতে দেননি তারা। অবশ্য একবার ভাগ্যের স্পর্শ পেয়েছিলেন রহমত। মিরাজের বলে তার ক্যাচ নিতে পারেননি জাকের আলী অনিক। টাইগার উইকেট কিপারের সামনে স্টাম্পিং করার সুযোগ থাকলেও পারেননি সেটা।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে নাসুমকে প্রথম আক্রমণে আনেন শান্ত। প্রথম বলেই সেদিকুল্লাহকে ফেরান নাসুম। শট ফাইন লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন মিরাজ। তাতেই ভাঙে ৫২ রানের জুটি। এরপর শহীদিকে নিয়ে জুটি গড়ার দিকে মনোযোগ দেন হাশমত। তবে আফগান অধিনায়ককে ফিরিয়ে সেই জুটি বড় হতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে আক্রমণে এসে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে বোল্ড করেন নাসুম। আফগানিস্তান সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় গুলবাদিন নাঈবের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে হাশমত রান আউট হয়ে ফিরলে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭৬ বলে ৫২ রান করেন হাশমত।
এরপর গুলবাদিন, নবী ও রশিদরা চেষ্টা করেছিলেন। তিনজনই করেছেন দুই অঙ্কের ঘরে রান। কিন্তু দলের হার রক্ষা করতে পারেননি তারা। বাংলাদেশের হয়ে ৮.৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন নাসুম। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ ও মুস্তাফিজ।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন শান্ত। প্রথম ওয়ানডেতে ভালো করতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। তবে এদিন তরুণ এ ওপেনার শুরুটা করেছিলেন ভালো। বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে দিয়েছিলেন বড় ইনিংস খেলার বার্তা। তবে গাজানফারকে ছক্কা মারার পরের বলেই আউট হয়েছেন তিনি। শট মিডঅনে ক্যাচ নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২২ রান।
আরেক ওপেনার করছেন সাবধানী ব্যাটিং। এক উইকেট হারানোর পর খোলসে ঢুকে গেছেন টাইগার ওপেনার। তবে উইকেটে আসার পর থেকে সাবলীল ব্যাটিং করছেন অধিনায়ক শান্ত। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ফিফটির দিকে ছুটছিলেন সৌম্য। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন, রশিদ খানের বলে ডিফেন্স করেছিলেন টাইগার এ ওপেনার। কিন্তু ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। আফগান ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। আউট হওয়ার পর যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না সৌম্য। নন স্ট্রাইকে থাকা শান্তর সাথে এসে কথা বলেন সৌম্য। কিন্তু শান্তর সাথে কথা বলে রিভিউ না নিয়েই মাঠ ছাড়েন টাইগার ওপেনার। একটু পর রিপ্লেতে দেখা যায় রশিদের বলটা আউট সাইড লেগ ছিল। রিভিউ নিলে রক্ষা পেতেন সৌম্য।
শুরুর দিকে সাবলীল ব্যাটিং করা শান্ত এরপর ঢুকে যান খোলসে। ৭৫ বলে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। তবে এরপরও প্রতিপক্ষ বোলারদের আক্রমণ করেননি টাইগার অধিনায়ক। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১১৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৭৬ রান।
মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ বলে ২২ রান। তাওহীদ হৃদয় পারেননি তেমন কিছু করতে। ১৬ বলে ১১ রান করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরেই।
বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদ। ২১ বলে ২ ছক্কায় ২৩ রান করেছেন নাসুম। জাকেরের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩৭ রান। আফগানিস্তানের হয়ে ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন খারোতে। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন গাজানফার ও রশিদ।
আপনার মতামত লিখুন :