নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৩৬ রানের লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিলো না বাংলাদেশের জন্য। লাল-সবুজদের দুর্দান্ত বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে দিশাহারা আফগানিস্তান অনেক কষ্টে ২৩৫ রানের ইনিংসটা খেলেছে। কিন্তু বোলিং-ফিল্ডিং ভালো করলেও আফগানদের স্পিন বোলিংয়ের সামনে দিশাহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
শান্তদের যখন ১৩২ রানে ৩ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপরই রশিদ খান ও ঘাজানফার ঘূর্ণি ঝড়ে রীতিমত যেন ধসে পড়ল পুরো ব্যাটিং-অর্ডার। পরের ১১ রান যোগ করতেই অলআউট পুরো দল। ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে ৯২ রানে হেরে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ২৩৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে। জয়ের পথে থাকা টাইগাররা ২৫ বলের ভেতর ১১ রান যোগ করতেই হারায় শেষ ৭ উইকেট।
অথচ একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতেই। শুরুটা ভালো না হলেও সৌম্য সরকার ও শান্তর জুটিতে সেই ধাক্কা সামলায় সফরকারীরা। এরপর তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও মিরাজে ৫৫ রানের জুটিতে জয়ের দিকেই এগুচ্ছিল তারা।
তবে দলীয় ১২০ রানে শান্ত সাজঘরে ফেরার সঙ্গেই যেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় টাইগাররা। মোহাম্মদ নবীর বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে চারবারের চেষ্টায় ৪৭ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়কের ক্যাচ নেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
অপরপ্রান্তে আফগান স্পিনারদের সামলে খেলতে থাকা মিরাজও যেন ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। ঘাজানফারকে সুইপ করতে গিয়ে তিনি ফেরেন ২৮ রানে। এরপরের গল্পটা শুধুই ঘাজানফারের। তার সঙ্গে যোগ দেন রশিদও। পরের ২৫ বলে এই ব্যাটার মিলে ধসিয়ে দেন বাংলাদেশকে। ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ঘাজানফার।
এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ৩০০তম ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তানের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে পাওয়ারপ্লেতে ৪ উইকেট হারায় আফগানরা।
৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে থাকা দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে প্রথমে গুলবাদিন নাইবকে নিয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক শাহিদি। তবে নাইবকে (ফিরিয়ে) ৩৬ রানের এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন তাসকিন। এরপরই ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিতে শুরু করেন শাহিদি ও নবী।
এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় মাঝের ২০ ওভারে কোনো উইকেটই নিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে রাখেন। ৫২ রান করা শাহিদিকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। বেশিক্ষণ টিকেননি রশিদ খানও।
এরপর নানগয়াল খারোটিকে নিয়ে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করার পর নিজের শতকের দিকে এগুতে থাকেন নবী। তবে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে তাসকিনের শিকার হয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত খারোটির ব্যাটে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট সংগ্রহ পায় আফগানরা। একই মাঠে আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দু’দল।
আপনার মতামত লিখুন :