নিজস্ব প্রতিবেদক: বিপিএল শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। এই আসর আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষনীয় করতে সবধরনের চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার বিপিএলের আগামী আসরের টাইটেল স্পন্সরের নাম ঘোষণা করেছে বিসিবি। ডাচ বাংলা ব্যাংকের নাম ঘোষণার সময় বিপিএল নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি জানিয়েছেন দর্শকরা মাঠে খেলা দেখতে এসে যে সমস্যার সম্মুখীন হন এবার সেটা হতে হবে না।
দর্শকদের বিনামূল্যে পানি সরবরাহ থেকে শুরু করে দর্শকরা যেন মাঠে বসে নিরবিচ্ছিন্নভাবে খেলা দেখতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে চায় বিসিবি। দর্শকরা যেন কোনোভাবেই হেনস্থার শিকার না হন সেদিকেও খেয়াল রাখবে বিপিএলের আয়োজকরা।
এ প্রসঙ্গে ফাহিম বলেছেন, আমি চাইব একজন দর্শক মাঠে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত কোনো হেনস্তার শিকার না হয়। খাবারের দাম যেমন হওয়া উচিত তেমন যেন হয়। ওয়াশরুম ব্যবহার থেকে শুরু করে পানি পান, এমনও হতে পারে পানির জন্য কোনো টাকাও দিতে হবে না। একজন দর্শক পরিবার পরিজন নিয়ে মাঠে এসে যেন নিজের মনে করতে পারেন পুরো আয়োজনকে। যেন তারা পরেরদিন আবার মাঠে আসার আগ্রহ পায়।
মাঠে বসে যারা খেলা দেখতে পারেন না এবার তাদের জন্যও ফ্যান পার্কের ব্যবস্থা করছে বিসিবি। স্টেডিয়ামের বাইরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর আশ্বাস দিয়েছেন ফাহিম। সেই সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনার ঝামেলা এড়াতে দর্শকদের জন্য ই-টিকিটিং ব্যবস্থা রাখছে বিসিবি।
বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামের বাইরে এমনকি ঢাকার বাইরেও জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে। টিভিতেও যারা খেলা দেখবে তারা যেন ভালো কিছু দেখতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। বলছি না এক আসরেই টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ডক্লাস হয়ে যাবে। কিন্তু আগের আসরের চেয়ে ভালো হবে। সামনের বছরগুলোতে আরও ভালো হবে বিপিএলের মান। এবারের বিপিএলে ই-টিকেটের প্রাধান্য থাকবে বেশি, ৮০-৮৫ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :