স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ ধরা হয় অলিম্পিককে। ১২৮ বছর এই ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় ফিরতে চলেছে ক্রিকেট। ২০২৮ সালের অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে লস অ্যাঞ্জেলসে। তবে সেখানে নাও অনুষ্ঠিত হতে পারে ক্রিকেট।
ভারতের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে চার হাজার কিলোমিটার দূরের শহর নিউ ইয়র্কে গড়াতে পারে ক্রিকেট ম্যাচগুলো। সর্বশেষ ১৯০০ সালে অলিম্পিকে ছিল ক্রিকেট। সেবার মাত্র দুটি দল অংশ নিয়েছিল এই বৈশ্বিক ক্রীড়া আসরে।
সেবার স্বাগতিক ফ্রান্সকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছিল গ্রেট ব্রিটেন। এরপর থেকে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই খেলাটিকে দেখা যায়নি অলিম্পিকে। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছে কীভাবে আবারও অলিম্পিকে ফেরানো যায় ক্রিকেট। -ক্রিকফ্রেঞ্জি
অবশেষে ২০২৮ অলিম্পিকে আবারও ফিরছে ক্রিকেট। জানা গেছে অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট রাখা হতে পারে। সেখানে অংশ নিতে পারে ছেলে ও মেয়েদের আটটি করে দল। আটটি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলতে হতে পারে।
এরপর সেমিফাইনাল, ফাইনাল ও ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচ। অলিম্পিকের ক্রিকেট আসর নিউ ইয়র্কে হলে ক্রিকেটাররা অলিম্পিক ভিলেজে থাকার সুযোগ হারাবেন। এবার সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ক্যাসি ওয়াসেরমান। টেক্সাসে এক কনফারেন্সে ওয়াসেরমান জানান ভারতের টেলিভিশন দর্শকদের জন্যই এই ভাবনা তাদের।
লস অ্যাঞ্জেলসের সঙ্গে ভারতের সময়ের পার্থক্য সাড়ে ১২ ঘণ্টা। আর নিউ ইয়র্কের সঙ্গে সেই পার্থক্য ৯ ঘণ্টা। এটাই কাজে লাগাতে চায় অলিম্পিকের আয়োজকরা। অলিম্পিকের আগামী আসরে ক্রিকেটের অন্তর্ভূক্তির পেছনে ভারতের দর্শকদের সঙ্গে বিপুল পরিমাণের সম্প্রচার চুক্তিও বড় ভূমিকা রেখেছে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্থায়ী ভেন্যুতে আয়োজন করা হয়েছিল নিউ ইয়র্কের ম্যাচগুলো। বিশ্বকাপের পরই সেই ভেন্যু গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে নিউ ইয়র্কে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করতে আবারও অস্থায়ী মাঠ তৈরির দিকেই হাঁটতে পারে অলিম্পিকের আয়োজকরা।
আপনার মতামত লিখুন :