স্পোর্টস ডেস্ক: অধিনায়কত্ব আর ভালো লাগছে না নাজমুল হোসেন শান্তর। এই গুরুদায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসের মাথায় সরে দাঁড়ানোর কথা বললেন তিনি। পারফরম্যান্সের সমালোচনা সঙ্গী হলেও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি। বাংলাদেশের মত একটা দলে বারবার অধিনায়ক পরিবর্তনের প্রভাব কেমন হতে পারে? সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ৭ মাস পর পর যদি আমাদের একটা অধিনায়ক পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে কখনোই আমাদের একটা দল হিসেবে দাঁড়াবে না।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মোহাম্মদ আশরাফুলের ধারণা, অধিনায়কত্বের জন্য ৩০ বছর বয়স হওয়া উচিত। আর দলের সেরা পারফর্মারদের দায়িত্ব না দেয়াই ভালো। শান্তকে বুঝিয়ে শুনিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডের নেতৃত্বে রাখার পক্ষে সাবেক এ অধিনায়ক। তবে টি টোয়েন্টিতে চান পরিবর্তন।
মোহাম্মদ আশরাফুল আরও বলেন, দুটি ফরম্যাটে মনে হয় শান্তর থাকা উচিত। টি-টোয়েন্টি থেকে সে হয়তোবা কিছুদিনের জন্য ব্রেক নিতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে যদি কাউকে চিন্তা করি আমার ব্যক্তিগত মতামত নুরুল হাসান সোহান বেস্ট চয়েজ হতে পারে।
নাজমুল শান্ত না থাকলে মেহেদি মিরাজের নাম চলে আসে অবধারিতভাবে। আশরাফুল মনে করেন, কোন একদিন মিরাজের কাঁধেই উঠবে দায়িত্ব। তবে দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারকে এখনই সে চাপ দেয়ার সময় আসেনি।
সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, মিরাজ অবশ্যই বাংলাদেশকে সামনে নেতৃত্ব দিবে। এখনই নেতৃত্ব না দিয়ে সে যদি আরও চার-পাঁচ বছর খেলে তাহলে ভালো হবে। আমি যেটা বলছি, যার বয়স ৩০ তখন যেন সে অধিনাকত্বটা পায়।
ক্রিকেটার তুলে আনার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আগের মত বর্তমান নির্বাচক প্যানেলেরও ভুল দেখছেন তিনি।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, একটা ইমার্জিং টুর্নামেন্ট হলো। সেখানে পাঁচ-ছয় বছর আগে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছে তাদের পাঠিয়েছে। আর আফগানিস্তান দল যদি দেখেন তারা পুরো একটা নতুন সাইড। ওই দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যটারদের বড় ইনিংস দেখতে চান আশরাফুল। এ টেস্টে ড্র করতে পারলেও হবে জয়ের সমান।
আপনার মতামত লিখুন :