স্পোর্টস ডেস্ক: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানকে হারানোর বিকল্প ছিল না নিউজিল্যান্ডের। আর সেমিফাইনালে যেতে পাকিস্তানের জন্যও ছিল এটি বাঁচা মরার ম্যাচ। সেই সঙ্গে এই ম্যাচে সেমি ফাইনালের মারপ্যাঁচ ছিল ভারতেরও।
পাকিস্তান যেকোনোভাবে কিউইদের হারাতে পারলে ভারতও সেমিফাইনালের টিকিট কাটতে পারত। তবে কোনো যদি কিন্তুর হিসেবে না গিয়ে পাকিস্তানকে ৫৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপের শেষ চারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। তখন হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন অনায়াসে জয় পাবে পাকিস্তান। তবে সেটা হতে দেননি কিউই বোলাররা। তাদের বোলিং তোপে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৬ রানে। ক্রিকফ্রেঞ্জি
দলটির মাত্র দুজন ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে ওপেনার মুনিবা আলী করেন ১১ বলে ১৫ আর ২৩ বলে ২১ রান আসে অধিনায়ক ফাতিমা সানার ব্যাট করে। পাকিস্তানের ইনিংসে সবচেয়ে বড় ধস নামিয়েছেন কিউই স্পিনার অ্যামেলিয়া কার তিনি একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এ ছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন এডেন কার্সন। আর একটি করে উইকেট পান রোজেমারি মায়ার, লি তাহুহু ও ফ্রান জোনাস। তাদের সম্মিলিত বোলিং দাপটে পাকিস্তানের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেননি। এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
ব্যাট করতে নেমে কিউইদের বেশ ভালোই শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সুজি ব্যাটস ও জর্জিয়া পালিমার। দুজনে মিলে যোগ করেন ৪১ রান। পালিমার ১৭ রান করে আউট হওয়ার পর শুরু হয় কিউই ব্যাটারদের আসা যাওয়া। একপ্রান্ত আগলে রেখে আরেক ওপেনার সুজি খেলেন ২৯ বলে ২৮ রানের ইনিংস।
এরপর অধিনায়ক সোফি ডিভাইনের ২৫ বলে ১৯ ও ব্রোক হালিডের ২৪ বলে ২২ রানের ইনিংসে কোনো মতে একশ পাড় করে কিউইরা। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন নাশরা সান্ধু, একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাদিয়া ইকবাল, নিদা দার ও অমাইমা সোহেল।
আপনার মতামত লিখুন :