স্পোর্টস ডেস্ক: সেঞ্চুরির পরের ম্যাচে হ্যারি ব্রুক খেলেছিলেন ৮৭ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। অঘোষিত ফাইনালে ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এবার করলেন ৭২ রান। ব্রুকের এমন ইনিংসের সঙ্গে বেন ডাকেট করলেন সেঞ্চুরি। তাদের দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পরও ট্রাভিস হেডের স্পিনে ধস নামে স্বাগতিকদের ব্যাটিং শিবিরে। বৃষ্টিতে খেলা থামার আগে ম্যাথু শর্টের তা-বে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। -ক্রিকফ্রেঞ্জি
ব্রিস্টলে জয়ের জন্য ৩১০ রান তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন হেড এবং শর্ট। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সেটা মাথায় রেখেই ইংলিশ পেসারদের বিপক্ষে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তারা দুজন। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৭ রান এলেও পরের ৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার তুলেছেন ৭১ রান। যেখানে উইল জ্যাকসের বিপক্ষে দুই ছক্কা ও দুই চারে সর্বোচ্চ ২০ রান এনেছেন হেড।
২৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনারকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ব্রাইডন কার্স। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ফিল সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হেড। বাঁহাতি ওপেনার ফিরলেও অস্ট্রেলিয়ার রান তোলার গতি থামানো থামানো যায়নি। স্টিভ স্মিথ একটু দেখেশুনে খেললেও তা-ব চালাতে থাকেন শর্ট।
এক উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া পাওয়ার প্লেতে একশ পেরিয়ে যায়। শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের পর তৃতীয় দল হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম ১০ ওভারে একশর বেশি রান তুলেছে তারা। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ইনিংসের ১১তম ওভারে মাত্র ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শর্ট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার কোন ব্যাটারের এটাই দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। পেছনে ফেলেছেন ২০১৫ সালে পার্থে ২৪ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা জেমস ফকনারকে।
হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি শর্ট। ম্যাথু পটসের অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটকিপার জেমি স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে গেছেন ৫৮ রানে। দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন স্মিথ ও জশ ইংলিস। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৭ রান। ইনিংসের ২০.৪ ওভারে ব্রিস্টলে হানা দেয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না থামায় ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে এগিয়ে থাকায় ৪৯ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
সফরকারীদের হয়ে স্মিথ ৩৬ এবং ইংলিস অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে। এদিকে মাত্র ৫ বল আগে বৃষ্টি না আসার আক্ষেপে পুড়তে পারে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী কোন ম্যাচের ফলাফল হতে দুই ইনিংসেই অন্তত ২০ ওভার করে খেলা হতে হবে। পঞ্চম ওয়ানডেতে ৫ বল আগে বৃষ্টি এলেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত হতো এবং সিরিজ ভাগাভাগি হতো। তবে শেষ ম্যাচ জিতে যাওয়ায় ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডকে দারুণ শুরু এনে দেন সল্ট এবং ডাকেট। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে যোগ করেন ৫৮ রান। মাত্র ২৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে সল্ট ফেরার পর তিনে নামা জ্যাকস বিদায় নিয়েছেন শূন্য রানে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩২ রান যোগ করেছেন ডাকেট ও ব্রুক। তাদের জুটি ভাঙার পর প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। ডাকেটের ১০৭ এবং ব্রুকের ৭২ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৩০৯ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। অজিদের হয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন হেড।
আপনার মতামত লিখুন :