স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী বৃহস্পতিবার শুরু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দুই ম্যাচ টেস্টের প্রথম ম্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ সিরিজকে সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছে টিম ইন্ডিয়া। অপরদিকে বাংলাদেশ দল ও পৌঁছে গেছে চেন্নাইয়ে। লড়াইয়ে নামার আগে বেশ কিছু রেকর্ডের অপেক্ষায় মুশফিক-মিরাজ-তাইজুলরা।
টেস্ট ফরম্যাটে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো বাকি টাইগারদের। ভারতের বিপক্ষে ১৩ টেস্ট খেলে ১১টিতে হার, দু’টি টেস্ট ড্র করেছে টাইগাররা। দারুণ ছন্দে থাকায় এবারই প্রথম টেস্ট জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সামনে। ইতোমধ্যে নয়টি দেশের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে টাইগাররা। ভারতকে হারাতে পারলে দশম দেশের বিপক্ষে টেস্ট জিতবে শান্ত-মিরাজরা। যমুনানিউজ
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তামিম ইকবালের ১৫,১৯২। আর মুশফিকের রান ১৫,১৮৪। ভারতের বিপক্ষে সিরিজেই তামিমের রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ মুশফিকের সামনে।
সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে ২শ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ থাকছে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। এজন্য প্রয়োজন ৫ উইকেট।
ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেট পেলেই বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩শ’ উইকেটের মালিক হবেন পাকিস্তান সিরিজের সেরা খেলোয়াড় স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন সাকিব। তার শিকার ৭০৮টি উইকেট। পরের দু’টি স্থানে থাকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও মুস্তাফিজ রহমানের শিকার ৩৮৯ ও ৩২৩টি উইকেট।
মাত্র ৬ ম্যাচ অধিনায়ক হয়ে শান্ত টপকে গিয়েছেন দেশের ইতিহাসের আগের সব অধিনায়ককে। বাংলাদেশের হয়ে একাধিক টেস্ট জয়ে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হকের পর এই তালিকায় আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরইমাঝে মুমিনুল হকের সমান ৩ টেস্ট জয় করে ফেলেছেন তিনি। সামনে সাকিবের ৪ জয় এবং মুশফিকের ৭ জয়।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ম্যাচে খেলে ৩ টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েছেন শান্ত। চলতি বছর পাচ্ছেন ৬ টেস্ট। টাইগার অধিনায়কের সামনে থাকছে রেকর্ডটাকে আরও সুসংহত করার।
আপনার মতামত লিখুন :