শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিচারের কাঠগড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি, প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে ইংলিশ লিগও

স্পোর্টস ডেস্ক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ আর ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার ফুটবল বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ট্রায়াল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। যে বিচারে সিটিজেনদের বিরুদ্ধে ১১৫টি মামলা নিষ্পত্তি হবে। দোষী প্রমাণিত হলে পয়েন্ট কর্তন এমন কী রেলিগেশনও হতে পারে ম্যানসিটির। আর নির্দোষ প্রমাণিত হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে ইংলিশ লিগের কার্যক্রম। ২০২৫ সালের শুরুতে হবে রায়। 

গেলো এক যুগে প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাব কোনটি। সবাই একবাক্যে স্বীকার করবে ম্যানচস্টার সিটি। ১১ মৌসুমের সাতটিতেই শিরোপা জিতেছে সিটিজেনরা। তবে কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়, নয় সিটেজেনরাও। সাফল্যের সঙ্গে অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগ সমানতালে চলেছে ম্যানসিটির পথচলায়। আর্থিক অনিয়মের দায়ে গেলো ১৪ বছরে ক্লাবটির বিপক্ষে ১১৫টি অভিযোগ উঠেছে। যার শুনানী শুরু হতে চলেছে সোমবার থেকে। তবে সেটি গোপনীয়তার সঙ্গে। অজানা জায়গায় দশ সপ্তাহ জুড়ে চলবে বিচার কাজ।  - বিবিসি

ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত যে মামলার বাদী ক্ষোদ ইংলিশ লিগ। দোষী সাব্যস্ত হলে মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানার সঙ্গে অনেক পয়েন্ট কেটে নেয়া হবে সিটিজেনদের। রেলিগেশনেও পড়তে পারে পরের লিগে। শুধু তাই নয় সাফল্যে লাগবে কলঙ্কের দাগ। এর প্রভাব এতটাই সুদূরপ্রসারী হবে যে আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি পর্যন্ত হতে পারে ইংল্যান্ডের। কেননা ক্লাবটির সিংহভাগ শেয়ার ইউএইয়ের প্রেসিডেন্টের ভাই ধনকুবের শেখ মনসুরের।

নির্দোষ প্রমাণিত হলেও এর প্রভাব পড়বে লিগে। অন্যক্লাবগুলোর কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে প্রিমিয়ার লিগ। গুরুত্ব কমে যাবে লিগ কর্তৃপক্ষের। এতে করে উভয় সঙ্কটে দাঁড়িয়ে ইংলিশ ফুটবল।

১১৫টি অভিযোগের ৫৪টিই ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সঠিক আর্থিক তথ্য না দেয়ার। ২০১৮ থেকে ২৩ এই ৫ বছরে প্রিমিয়ার লিগের তদন্তে ৩৫ বার সহযোগীতা না করার অভিযোগ রয়েছে ম্যান সিটির বিরূদ্ধে। এছাড়াও ১৪ বার ফুটবলার ও কোচের পরিশ্রমিক সংক্রান্ত তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়া, ৭ বার প্রিমিয়ার লিগের পিএসআর নিয়ম ভঙ্গ করা আর ৫ বার উয়েফার ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে আইন ভঙ্গের মত গুরুতর অভিযোগ আছে।

৪ বছর আগে উয়েফার আইনভঙ্গের অভিযোগে ইউরোপিয়ান কম্পিটিশন থেকে দু’বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলো ম্যান সিটি। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই দ্যা কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিল সিটি কর্তৃপক্ষ।

শেষ পর্যন্তই আইনী লড়াইয়ে কে হাসবে বিজয়ের হাসি? জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ পর্যন্ত। দু’পক্ষের সমঝোতার বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়