নিজস্ব প্রতিবেদক: ছিলেন উশু খেলোয়াড়। টানা ৯ বছর খেলেছেন। পরবর্তীতে মো. দুলাল হোসেন হয়ে উঠলেন উশু সংগঠক। ২০০২ সালে নিজেই তৈরি করলেন উশু ফাইট ক্লাব। খেলোয়াড় তৈরির কারিগর হিসাবে বেশ পরিচিতি পেলেন তিনি। সেখান থেকেই বড় দায়িত্ব পেলেন উশু ফেডারেশনে। ২০১৮ সালে ফেডারেশনের এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন দুলাল হোসেন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে নির্বাটিত সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।
গত ৭ বছরে গুরু দায়িত্ব পালনকালে দেশে জাতীয় প্রতিযোগিতা ও ক্লাব কাপ থেকে শুরু করে অনেকগুলো টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন সুনামের সঙ্গে। বিদেশের মাটিতেও সুখ্যাতি আছে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের।
গত বছর (২০২৩) চীনে এশিয়ান জুনিয়র উশু চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ৫টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। চলতি বছরের জুনে চীনে অনুষ্ঠিত উশু আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছিলো ২টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জ পদক। এই অভাবণীয় সাফল্যের কারণে অস্ট্রেলিয়ার ১০ম সান্দা ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ উশু।
উশু খেলার প্রচার এবং প্রসারের লক্ষ্যে ২০২২ সালে মো. দুলাল হোসেনের তত্বাবধানে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা খেলোয়াড় বাছাইয়ের লক্ষ্যে নেপালি কোচের অধীনে তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গত বছর (২০২৩) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করেছেন উশু ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এই সময়ে জাতীয় উশু কোচেছ কোর্স, জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ কোর্স, পঞ্চম চায়না - বাংলাদেশ উশু কম্পিটিশন, চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু ও কুংফু প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক উশু জাজেস ট্রেনিং এন্ড সার্টিফিকেশন কোর্স এবং চীনের মাটিতে একাদশ জুনিয়র এশিয়ান উশু চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ।
গত সাত বছরে উশুর এই অর্জন নিঃসন্দেহে ইর্ষণীয়। সুযোগ পেলে মো. দুলাল হোসেন উশু খেলাকে বিশ্বের আরো দৃঢ়ভাবে দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। ফেডারেশনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্য দেশিয় খেলাধুলার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) আয়- ব্যয়ের হিসাব চেয়েছেন। উশু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন দৃঢ়তার সাথে পরিষদের নির্দেশ মেনে তার আমলে সকল অডিট রিপোর্ট ক্রীড়া পরিষদে জমা দিয়েছেন।