স্পোর্টস ডেস্ক: সৌদি আরবের ফুটবল লিগের জনপ্রিয়তা বাড়ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই দেশটির ক্লাব ফুটবল জোয়ার শুরু হয়েছে। পর্তুগীজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পথ ধরে সমসাময়িক অনেক তারকাই পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি ফুটবলের অর্থের মায়ায়। তালিকায় নেইমার থেকে শুরু করে করিম বেনজেমার মতো তারকাও রয়েছেন।
বর্তমান সময়ের আফ্রিকান সেরা ফুটবলার ভিক্টর ওসিমেনও সম্প্রতি যোগ দিতে চেয়েছিলেন সৌদি ফুটবলের এই জোয়ারে। যদিও শেষ পর্যন্ত দলবদল হয়নি। তবে চলতি গ্রীষ্মে ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে সৌদি লিগে গিয়েছেন ইংলিশ তারকা আইভান টনি এবং নেদারল্যান্ডসের মিডফিল্ডার স্টিভেন বার্গউইন। দুজনেই ইউরোতে খেলেছেন সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত।
এবার তারা হাঁটলেন সৌদি পথে। বিপুল অর্থের কারণে ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে সৌদিতে পাড়ি জমালেন তারা। এরমধ্যে সৌদি ক্লাব আল আহলিতে যোগ দিয়েছেন আইভান টনি। তার এমন দলবদলের পর সাবেক ইংলিশ তারকা অ্যালান স্মিথ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে আইভান টনির জাতীয় দলের দরজাটাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তবে টনির বেলায় যেটি শঙ্কা, তা সত্য হয়েছে স্টিভেন বার্গউইনের বেলায়। সৌদি লিগে যোগ দেয়ার অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের জাতীয় দলের দরজা তার জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। গতরাতে নেদারল্যান্ডস ৫-২ গোলে একপ্রকার উড়িয়েই দিয়েছে প্রতিপক্ষ বসনিয়া হার্জেগোভিনাকে। এই ম্যাচে ছিলেন না বার্গউইন।
এই মিডফিল্ডারের জাতীয় দলের দরজা কেন বন্ধ, সেই ব্যাখ্যা আগেই দিয়েছিলেন কোম্যান। তার ভাষ্য, মাত্র ২৬ বছর বয়সেই সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদে যোগ দিয়ে বার্গউইন বুঝিয়েছেন তার কাছে খেলার চেয়ে অর্থই মুখ্য।
কোম্যানের ভাষ্য, তার (স্টিভেন বার্গউইন) জন্য দরজা পারতপক্ষে বন্ধ। সে জানে আমি এই ব্যাপারে কেমন ধারণা রাখি। যখন তোমার বয়স ২৬, তখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত খেলা। টাকা নয়। এসব সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়রাই নেয়।
বার্গউইন তার নিজের ক্লাব আয়াক্সেই থাকতে পারতেন বলে মন্তব্য কোম্যানের। তিনি বলেন, আমি কখনোই এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি। কারণ আমি বার্সেলোনায় চলে যেতে পারতাম। সে চাইলে আয়াক্সেই থাকতে পারতো। সেটা তো খারাপ ছিল না, তাই না? মানুষের পছন্দকে সম্মান করতে হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমি পারছি না (সম্মান জানাতে)।
স্টিভেন বার্গউইনের মতো ভাগ্য আইভান টনিরও হতে পারে বলে মনে করেন সাবেক ইংলিশ তারকা অ্যালান স্মিথ। তার মতে, সৌদি লিগে থাকার কারণে টনির ওপর থেকে চোখ সরে যাবে ইংলিশ ম্যানেজারের। তবে পরের মৌসুমে অন্তত ৪০ গোল করলে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে বিবেচিত হতেও পারেন। যদিও সেই সম্ভাবনাও আপাতত খুবই কম।
আপনার মতামত লিখুন :