স্পোর্টস ডেস্ক: মঙ্গোলিয়ার খেলার ধরন দেখে হাসি আসবে বৈকি। পাড়া মহল্লা ও অলি গলির ক্রিকেটেও এর চেয়ে অনেক ভালো খেলে বাচ্চা ছেলে মেয়েরা। মঙ্গোলিয়ার ১০ রানে অলআউট হওয়াকে আর কি-ই বা বলা যায়। আধুনিক ক্রিকেট যখন অন্য দলগুলো বড় বড় ইনিংস আর চার-ছক্কায় মত্ত তখন মঙ্গোলিয়া যেন পণ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারাই সর্বনি¤œ রানের ইনিংস করবে।
এমনটা না হলে পুরুষ ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টিতে সর্বনি¤œ রানের চার ইনিংসের তিনটিতে মঙ্গোলিয়ার নাম থাকত না। সবচেয়ে কম রানের বিব্রতকর রেকর্ডটার মালিক অবশ্য এখন এককভাবে হতে পারেনি মঙ্গোলিয়া। তাদের সমান ১০ রান আছে যুক্তরাজ্যের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও দ্বীপ আইল অব ম্যানের।
গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি স্পেনের বিপক্ষে এই রানে অলআউট হয় আইল অব ম্যান। এবার তাদের সঙ্গী হয়েছে মঙ্গোলিয়া। এর আগে ১২ ও ১৭ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডও আছে মঙ্গোলিয়ার।
বৃহস্পতিবার ১০ রানে অলআউট হওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডটা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে করেছে তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পর্বের ম্যাচে মঙ্গোলিয়ার ইনিংস দেখতে একদম মোবাইল নম্বরের ডিজিটের মতো। প্রথম থেকে শেষ ব্যাটারের ইনিংস হচ্ছে ০, ১, ০, ১, ২, ০, ০, ১, ২, ০, ১। অর্থাৎ ১১ ব্যাটার মিলেও গড়ে ১ রান করে করতে পারেননি। তবে ওভারে ঠিকই করেছে তারা। ১০ রান করে সমান ১০ ওভার খেলে।
মঙ্গোলিয়াকে এমন বিব্রতকর রেকর্ডে নাম তুলতে বাধ্য করেছেন সিঙ্গাপুরের হার্শা ভরদ্বাজ। সিঙ্গাপুরের বাঙ্গিতে ইনিংসের শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট নিয়েছে ১৭ বছর বয়সী এই লেগস্পিনার।
৪ ওভার বোলিং করে ২ ওভার মেডেন দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৬টি। রান খরচ করেছেন মাত্র ৩। ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। গত বছর চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং করেন মালয়েশিয়ার পেসার সিয়াজরুল ইদ্রুস।
১১ রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটের জয় পায় সিঙ্গাপুর। ছেলে-মেয়ে মিলে অবশ্য সর্বনি¤œ রানের রেকর্ড অবশ্য মালদ্বীপ এবং মালির। দুই দলই যৌথভাবে ৬ রান করতে পেরেছে। সর্বনি¤œ রানের এই বিব্রতকর রেকর্ডে বাংলাদেশের নামও জড়িয়ে আছে। ২০১৯ সালে মালদ্বীপকে ৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। আর ওই বছরই মালদ্বীপের সঙ্গী হয় মালি। রুয়ান্ডার বিপক্ষে ৬ রানে অলআউট হয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :