স্পোর্টস ডেস্ক: বল হাতে প্রথমেই আঘাত হেনেছিলেন তাসকিন আহমেদ। এরপর সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদের শতরানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া আঘাতে এই দুই ব্যাটার ফিরলে খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ডানহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণি জাদুতে ২৭৪ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। -অলআউট স্পোর্টস
ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো মিরাজের পাঁচ উইকেট শিকারের পাশাপাশি তিন উইকেট নেন ১৪ মাস টেস্ট দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও সাকিব আল হাসান।
তবে ব্যাট হাতে শুরুতেই বিপদে পড়তে পারত বাংলাদেশ। প্রথম বলে সাদমান ইসলামের ক্যাচ ছাড়েন সৌদ শাকিল। ৬ রানে অপরাজিত সাদমান ও রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় থাকা জাকির হাসান তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর শনিবার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চোটে পড়া শরিফুল ইসলামের বদলে একাদশে এসে দলকে শুরুতেই সাফল্য দেন তাসকিন। প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড করেন আবদুল্লাহ শফিককে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত শুরু ধাক্কা সামাল দেন সাইম ও মাসুদ।
বিরতির পরই ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিতে শুরু করে বাংলাদেশ। ওয়ানেডে মেজাজে খেলতে থাকা মাসুদকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ৫৭ রান করা পাকিস্তান অধিনায়ককে ফিরিয়ে ভাঙেন ১০৭ রানের জুটি। ৫৮ রান করা ওপেনার সাইমকে বোকা বানিয়ে স্ট্যাম্পিং করিয়ে সাজঘরে ফেরান এই অফ-স্পিনার।
পরের ওভারেই অবশ্য উইকেট পেতে পারতেন নাহিদ। কিন্তু স্লিপে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ছাড়েন মিরাজ। তবে প্রথম ম্যাচে শতক হাঁকানো এই ব্যাটারকে ইনিংস বড় করতে দেননি তাসকিন। ব্যক্তিগত ১৬ রানেই তাকে বোল্ড করেন ডানহাতি এই পেসার।
পঞ্চম উইকেটে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি গড়ে এই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও এবার বাধা হয়ে দাঁড়ান সাকিব আল হাসান। ৩১ রান করা বাবরকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ভাঙেন ২৮ রানের জুটিটি। সেই ওভারেই আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন সাকিব। তবে শর্ট লেগে থাকা জাকির আগা সালমানের ক্যাচ নিতে পারেননি।
চা বিরতির পর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে রিজওয়ানকে (২৯) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন নাহিদ।
তবে টেইলএন্ডারদের নিয়ে জুটি গড়ে দলের খাতায় আরও ৬৩ রান যোগ করেন সালমান। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে তাকে থামান তাসকিন। পরের বলে আবরার আহমেদকে স্ট্যাম্পিং করিয়ে স্বাগতিকদের ইনিংসের সমাপ্তি করেন মিরাজ।
আপনার মতামত লিখুন :