স্পোর্টস ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব প্রথমে চেয়েছিলো ২০৩০ বিশ্বকাপে বিড করতে। সেটা হলো না। লাতিন আমেরিকার পুটবল নিয়ন্ত্রক কনমেবল বিশ্বকাপের ১০০ বছর পুর্তী উপলক্ষে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব আর্জেন্টিনার হাতে দেওয়ার জন্য ফিফাকে জানিয়ে রেখেছে। ফলে সৌদি আরব টার্গেট করে ২০৩৪ সালের আসরকে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সুযোগও মিলে যায় ঠিকঠাকভাবে। ফিফা বিশ্বকাপের ২৫তম আসরের একমাত্র বিডার মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি। ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
বৃস্পতিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৪৮ দলের এই ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদির পাঁচটি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে, এর মধ্যে আটটি সৌদির রাজধানী রিয়াদে। সৌদি আরব ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের বিড করার পর এ ঘোষণা এসেছে।
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮টি দল খেলবে ২০৩৪ বিশ্বকাপে। কোনো সহযোগী দেশ নয়, সৌদি আরব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে একাই।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদি আরবের প্রস্তাবিত শহরগুলোর মধ্যে রিয়াদেই হবে আটটি স্টেডিয়াম। তালিকায় আছে জেদ্দা, আল খোবার, আবহা ও ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের নতুন শহর নিওম।
এর মধ্যে একটি নির্মাণের অপেক্ষাধীন কিং সালমান স্টেডিয়াম, যে স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা হবে ৯২ হাজার। এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ।
রক্ষণশীল ভাবমূর্তি সরিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতেই মূলত এত বড় বড় ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজন করতে চায় সৌদি আরব। ২০২৭ এশিয়ান কাপ, এমনকি ২০২৯ এশিয়ান উইন্টার গেমসও আয়োজন করার কথা তাদের। যদিও পরিবেশবিদেরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
২০৩৪ সালেই রিয়াদে এশিয়ান গেমস আয়োজন করা হবে। দুই সপ্তাহের এই টুর্নামেন্টে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের চেয়েও বেশি ইভেন্ট থাকবে, থাকবেন সমান পরিমাণ অ্যাথলেটও।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :